খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: কুমিল্লা ও গাজীপুরে র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৩ জন নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি, নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী ও মামলার আসামি।
বুধবার রাতে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
চট্রগ্রাম: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক যুবক নিহত হয়েছেন। র্যাবের দাবি, নিহত যুবক স্থানীয় সন্ত্রাসী। ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-২২ অস্ত্র ও ৬৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার ভূজপুর থানার কোঠবাড়িয়া গ্রামের শিকদারপাড়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
র্যাব-৭ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাশকুর রহমান জানান, গোপন খবর পেয়ে ভূজপুর থানার কোঠবাড়িয়া গ্রামের শিকদারপাড়া এলাকায় র্যাবের টহল দল অভিযান চালায়। এসময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে ওই ব্যক্তি নিহত হয়।
নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানান র্যাবের ওই কর্মকর্তা।
কুমিল্লা: কুমিল্লায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রাসেল নামে তালিকাভুক্ত এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের ২ সদস্য আহত হয়েছেন।
বুধবার গভীর রাতে জেলার সদর উপজেলার গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ সংলগ্ন শ্রীপুর এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত রাসেল সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাগবের গ্রামের হারু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, একটি রামদা ও সাড়ে ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা ডিবি পুলিশের ওসি মো. মাঈন উদ্দিন খান।
তিনি আরও জানান, সদর উপজেলার গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ সংলগ্ন শ্রীপুর এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদক ভাগাভাগি করছে গোপন সূত্রে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাত দেড়টার দিকে মাদক উদ্ধারে অভিযানে যায় জেলা ডিবির একটি টিম। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে।
এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী রাসেল গুলিবিব্ধ হয়। পরে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রাসেল পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে থানায় ৮-১০টি মামলা রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
গাজীপুর: গাজীপুরের সালনায় র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সুজন মিয়া নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন, যার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকসহ ১৩টি মামলা আছে বলে দাবি করেছে র্যাব। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র ও মাদক।
নিহত সুজন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গীর আরিচপুরের চাঁন মিয়ার ছেলে।
র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানান, সালনা এলাকায় কয়েকজন অস্ত্র কেনাবেচার জন্য জড়ো হয়েছেন এমন খবরে র্যাবের একটি দল বুধবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্র কারবারিরা গুলি ছোঁড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে সুজন গুলিবিদ্ধ হন। পালিয়ে যান তার অন্য সহযোগীরা। গোলাগুলিতে র্যাবের সৈনিক কামরুল ইসলাম আহত হন। গুলিবিদ্ধ অস্ত্র কারবারি সুজনকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে দুটি শর্টগান, দুটি ওয়ান শুটারগান, নয় রাউন্ড কার্তুজ ও ১২ শ’ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১১টি মাদক, একটি অস্ত্র ও অপরটি হত্যা মামলা।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন