খবর২৪ঘণ্টা.বিনোদন,ডেস্ক: বরুণ ধবনের ভেতরের মানুষটাকেই টেনে বের করতে চেয়েছিলেন পরিচালক সুজিত। স্বাভাবিকভাবে বরুণ যেমন, ঠিক তেমনটাই থাকতে হবে বরুণকে। এটাই দাবি ছিল তাঁর।
সেই জন্যেই বরুণকে পাঠিয়েছিলেন হোটেল ম্যানেজমেন্ট স্টুডেন্টদের সঙ্গে কাজ করতে। জেনে নিতে তাদের জীবনযুদ্ধের চেহারাটা কেমন। হোটেলের বাসন মাজা, ঘর ঝাঁট-মোছ করা থেকে রান্না করা, সব কাজই শিখেছেন বরুণ।
এখানেই শেষ নয়। বরুণকে এক নাগাড়ে বাইক চালানো অভ্যেস করতে বলেছিলেন। দিল্লি হাইওয়ে দিয়ে টানা তিন-চার ঘণ্টা বাইক চালিয়েছেন বরুণ। কেউ চিনতেই পারেনি।
সুজিতের সিক্রেট ট্যালেন্ট কি, আবিষ্কার করলেন বরুণ, বনিতা
সেটা বড় কথা নয়। তার চেয়েও বড় ব্যাপার, প্রচণ্ড নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন বরুণ। বাইক চালানো একেবারে অভ্যেস নেই। হাইওয়েতে গাড়ি চালাতে চালাতে তাঁর মনে হচ্ছিল, দু’দিক থেকে প্রচণ্ড দ্রুতগতিতে গাড়িগুলো চলে যাচ্ছে। যখন শ্যুটিং চলছিল, তখন শীত। পারদ নেমেছে প্রায় ৮ ডিগ্রিতে।
‘‘ ভোর চারটেয় আমি বাইক চালাচ্ছিলাম। কনকনে শীতে হাত-পা জমে যাচ্ছিল। তবু দমে যাইনি। সুজিতদা চেয়েছিলেন আমার চোখেমুখে ক্লান্তির ছাপটা পড়ুক। ঠিক যেভাবে জীবনযুদ্ধে হিম্মত হারে না এই পেশার ছেলেরা, ঠিক তেমনটাই হতে চেয়েছিলাম আমি।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ