1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
'তারেক জিয়াকে দেশে ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনা চলছে' - খবর ২৪ ঘণ্টা
বধবার, ০৮ জানয়ারী ২০২৫, ১২:৩৪ অপরাহ্ন

‘তারেক জিয়াকে দেশে ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনা চলছে’

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২ মে, ২০১৮

খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্কএকাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেকের বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি। নিশ্চয়ই তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবো।’

বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন। সাম্প্রতিক সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকেন প্রধানমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা অনেক দেশ থেকে এ ধরনের আসামি নিয়ে আসি। সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেকের বিষয়েও আমরা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি। নিশ্চয়ই আমরা তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবো।’

তারেককে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন করায় বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে তারা চেয়ারপারসন করলো। বিএনপি নাকি সবচেয়ে বড়, জনপ্রিয় দল, তাদের দলে কি একজন যোগ্য লোকও নেই? এ ধরনের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে তারা চেয়ারপারসন করে? এ ধরনের রাজনৈতিক দেউলিয়া দল আর নেই।’

প্রধানমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়ায় গ্লোবাল সামিট অন উইমেনে জাঁকালো অনুষ্ঠানে পাওয়া ‘গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ দেশের নারী সমাজের প্রতি উৎসর্গ করে বলেন, ‘এই পুরস্কার আমি আমার দেশের নারী সমাজের প্রতি উৎসর্গ করেছি। আমাদের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে, সেটা বিশ্ব দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছে।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বিশ্ব সম্প্রদায়। লন্ডনে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রশংসা হয়েছে, সম্মেলনের ঘোষণায় রোহিঙ্গা বিষয়ক অনুচ্ছেদ যুক্ত হয়েছে। যেটা আমাদের সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য বলে মনে করি।’

লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন শেষে সাংবাদিক শ্যামল দত্তের এক প্রশ্নের জবাবে কোটা সংস্কার ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনের সঙ্গে, ওই সময় কারা মিশছে সে বিষয়ে কাউকে সোচ্চার হতে দেখিনি। মুক্তিযুদ্ধের পর পিছিয়ে পড়াদের সুযোগ করে দিতে কোটা পদ্ধতি করা হয়েছিল। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধা দেওয়া হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। যেহেতু তারা আন্দোলনে নেমেছে তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে আর কথা বলার কিছু নেই। আমরা আগে থেকেই বলে আসছি কোটা থেকে পদ পূরণ না হলে মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হবে। সেটা আগে থেকে করে আসছিলাম। তারপরও যেহেতু আন্দোলন ঠিক আছে আমরা মেনে নিলাম। সব কোটা বন্ধ। এটা নিয়ে নতুন করে কথা বলার দরকার নেই।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব যেভাবে হওয়ার সেভাবেই হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচনের পদ্ধতি আছে। তালিকায়ে আসা আগ্রহীদের ডেকে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। সমঝোতা হলে এই কমিটির প্রেস রিলিজ দেয়া হবে। অন্যথায় স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে ভোট হবে।

ভোটের মাধ্যমে কমিটি হওয়ার ঝামেলা আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ইয়াং ছেলেপুলে, ভোটের মধ্যে অনেক কিছুই হতে পারে। প্রভাবিত হতে পারে। তবে আমরা দেখবো ভোটের মধ্যে যোগ্য নেতৃত্ব এসেছে কিনা। না এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে একটা উপযুক্ত বয়সসীমা রয়েছে, তাদের ছাত্র হতে হবে। এদের মধ্য থেকেই নতুন নেতৃত্ব বেছে নেয়া হবে।

কমনওয়েলথ সম্মেলনে অংশ নেয়ার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সম্মেলনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। তিনি বলেন, সেখানে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন এবং প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এই সফরকে আমার সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য বলে মনে করি।

সফরে নরেন্দ্র মোদি, জাস্টিন ট্রুডোসহ বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বিশ্ব সম্প্রদায়। এছাড়া বিশ্বদরবারে অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা তুলে ধরা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা আমাদের দেশে এসেছেন, তাদের মনোভাব অত্যন্ত ইতিবাচক, তারাও চান মিয়ানমার থেকে যে ১১ লাখ মানুষ এসেছে, তারা সেখানে ফিরে যাক।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ সম্মেলনে রোহিঙ্গা বিষয়ে বাংলাদেশের ভূমিকার যে প্রশংসা হয়েছে, তা সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বিশ্ব সম্প্রদায়। কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রশংসা হয়েছে, সম্মেলনের ঘোষণায় রোহিঙ্গা বিষয়ক অনুচ্ছেদ যুক্ত হয়েছে। যেটা আমাদের সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য বলে মনে করি। সফরে অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসাও বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পেয়েছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ 

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST