1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
তামাকের কর কাঠামোর পরিবর্তনের দাবিতে অর্থমন্ত্রীকে এমপিদের চিঠি - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানয়ারী ২০২৫, ০৩:০ পূর্বাহ্ন

তামাকের কর কাঠামোর পরিবর্তনের দাবিতে অর্থমন্ত্রীকে এমপিদের চিঠি

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৮ জুন, ২০২০
তামাকের ব্যহার । ছবি : প্রতিকি

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : প্রস্তাবিত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেট সংশোধন করে উচ্চহারে তামাকের কর ও দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবনায় অর্থমন্ত্রী বরাবর বাজেট প্রতিক্রিয়া স্বরূপ একটি পত্র প্রেরণ করেছেন রাজশাহী-০২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও রাজশাহী-০৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিনসহ দেশের কয়েকজন সংসদ সদস্য। চিঠিতে তারা করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রস্তাবিত বাজেটের উপর প্রতিক্রিয়া জানান এবং বাজেট পুন:বিবেচনায় এনে যথাযথ সংশোধনের জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।
রবিবার (২৮ জুন) বিকালে উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংস্থা ‘এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’র তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অর্থমন্ত্রীর নিকট এমপিদের পাঠানো এ পত্র প্রেরণের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
পত্র প্রেরণকারী অন্য এমপির হলেন- গোপালগঞ্জ-০১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, মুহাম্মদ ফারুক খান, সিরাজগঞ্জ -০২ আসনের সংসদ সদস্য পফেসর

ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, মহিলা আসন-০৭ এর সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান, মহিলা আসন-২০ এর সংসদ সদস্য অপরাজিতা হক এবং মহিলা আসন-৪৫ এর সংসদ সদস্য মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী।
এসিডির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা মহামারীর এই সময়ে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছিলো। যেখানে তামাকদ্রব্যে সুনির্দিষ্ট শুল্ক আরোপ ও সিগারেটের মূল্যস্তর চারটি থেকে কমিয়ে দুইটিতে নামিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার প্যাকেটের দাম ২ টাকা (৫.৪%) ও সম্পূরক শুল্ক মাত্র ২% বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর উচ্চস্তর ও প্রিমিয়াম স্তরে প্রতি ১০ শলাকার প্যাকেটে গত

বছরের তুলনায় যথাক্রমে ৪.৩% ও ৪.০৬% দাম বৃদ্ধি করা হলেও শুল্ক বাড়ানো হয়নি।
মধ্যম স্তরে দাম ও শুল্ক কোনটারই পরিবর্তন আসেনি। ফলে মাথাপিছু আয় ও মূল্যস্ফীতির তুলনায় দাম বৃদ্ধি না পাওয়ায় সিগারেট/তামাকজাত দ্রব্যের প্রকৃত মূল্য হ্রাস পাবে। তাছাড়া নিম্নস্তরে খুবই সামান্য শুল্ক বাড়ায় তা রাজস্ব আয়ে কিছুটা ভূমিকা রাখলেও, অন্য স্তরে শুল্ক না বাড়ায় তাতে তামাক কোম্পানিগুলো লাভবান হবে। এমতাবস্থায় বাজেট প্রতিক্রিয়া পত্রের মাধ্যমে সংসদ সদস্যগণ নিম্নোক্ত প্রস্তাবনাসমূহ অর্থমন্ত্রী নিকট পেশ করেন এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়নে অনুরোধ জানান।
১. সিগারেটের মূল্যস্তর ৪টি থেকে ২টি নির্ধারণ করা। একিভূত নতুন নিম্নস্তরের ১০ শলাকা সিগারটের খুচরা মূল্য ন্যূনতম ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা; একিভূত নতুন প্রিমিয়াম স্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ন্যূনতম ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১৯ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা;
২. ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ৪০ টাকা নির্ধারণ করে ৫০% সম্পূরক শুল্ক ও ৬.৮৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা; এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ৩২ টাকা নির্ধারণ করে ৫০% সম্পূরক শুল্ক এবং ৫.৪৮ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা;
৩. সকল তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যের উপর ৩% কোভিড-১৯ সারচার্জ আরোপ করা। * ই-সিগারেটের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।

এছাড়াও প্রতিক্রিয়ায় সংসদ সদস্যগণ আরো বলেন, সার্বিকভাবে প্রস্তাবিত তামাক কর ও মূল্য বৃদ্ধির পদক্ষেপ অতিরিক্ত রাজস্ব আহরণ, অকাল মৃত্যুরোধ এবং করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাসে কোনো ভূমিকা রাখবে না, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। প্রস্তাবিত বাজেটে তামাকখাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয় খুব বেশি বাড়বে না; বরং শুল্ক না বাড়িয়ে দাম বাড়ানোর ফলে তামাক কোম্পানিগুলো বিনা ব্যয়ে আরো বেশি মুনাফা করার সুযোগ পাবে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন না করলে সরকার অতিরিক্ত ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের সুযোগ হারাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মতে, ধূমপায়ীদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি অনেকগুণ বেশি। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন অস্বাভাবিকহারে বাড়ছে। এখনই উপযুক্ত সময় সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করার, বিশেষত জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার তামাকজাত দ্রব্য

বিক্রয় সীমিত করা, তামাকের কর বৃদ্ধির মাধ্যমে এসকল দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি ও তামাকজাত দ্রব্য ক্রয়-ক্ষমতার বাহিরে নিয়ে যাওয়া। তাহলে এই মহামারিতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং উল্লেখিত প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করা হলে প্রায় ২০ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী ধূমপান ছেড়ে দিতে উৎসাহিত হবে এবং সরকারের অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে ১১ হাজার কোটি টাকা। সরকার এই অতিরিক্ত রাজস্ব তামাক ব্যবহারের ক্ষতি হ্রাস এবং করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সংকট মোকাবেলায় ব্যবহার করতে পারবে।

এমকে

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST