তানোরে প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে নভেল করোনা ভাইরাস সচেতনায় মাঠে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন। দেশে ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসে একজনের মৃত্যু ও ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে বুধবার বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রবাসীদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে সচেতন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় এরির্পোট লেখা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন জনসাধারণের মাঝে করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেছেন। এ সময় প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়াও উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতোর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।
এসময় তানোরে এখন পর্যন্ত কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নয় বলে উপজেলা প্রশাসকের পক্ষে জানানো হয়েছে। তবে, উপজেলা প্রশাসনের তথ্যে বলা হচ্ছে, প্রবাসী ১০ জনের মত নারী-পুরুষ তানোরে অবস্থান করছেন। যাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এসব ব্যক্তি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার গ্রাম-গঞ্জে রয়েছেন।
এরা হলেন- উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের মাদারীপুর গ্রামের শামসুদ্দিনের পুত্র সুমন আলী (৪০)। তিনি ইরাক থেকে ১০ দিন আগে বাড়ি এসেছেন। এছাড়াও সৌদি আরব থেকে ৭ দিন আগে বাড়ি এসেছেন একই ইউনিয়নের পারিশো গ্রামের কেফাত আলীর কন্যা রোজিনা খাতুন (৩০)। একই ইউনিয়নের হাতিশাইল গ্রামের মৃত কোরবান আলী পুত্র জিয়ারুল মন্ডল (৩৮) তিনি দুবাই থেকে দুইদিন আগে নিজ বাড়িতে আসেন। অপরদিকে, তানোর পৌর এলাকার পালপাড়া গ্রামের মৃত ভোলানাথ পালের পুত্র ডা. শ্রী ভবেশ পাল (৫৫) ভারত থেকে ৩ দিন আগে বাড়ি এসেছেন। তানোর সিন্দুকাই গ্রামের রমজান আলীর পুত্র তারেক আলী (৩৫) দুবাই থেকে ৯ দিন আগে বাড়ি এসেছেন। অন্যরা আত্মগোপনে রয়েছেন।
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, কোয়ারেন্টিন মানে সংক্রমণ ঝুঁকি এড়ানোর উদ্দেশ্যে ব্যক্তির চলাফেরাকে সীমাবদ্ধ করা। কোয়ারেন্টিন তাঁদের জন্যই প্রযোজ্য, যারা রোগে আক্রান্ত হননি কিন্তু রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন, রোগের প্রাদুর্ভাব যুক্ত এলাকায় থেকেছেন অর্থাৎ যারা রোগ ছড়াতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ইউএনও আরও বলেন, সরকারি নিয়ম মতে এসব প্রবাসীদের ১৪ দিন ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। এজন্য বুধবার বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রবাসীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শর্তক করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় এরির্পোট লেখা পর্যন্ত তিনি মাঠে রয়েছেন প্রবাসীদের খোঁজে। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) ডাক্তার রোজী আরা খাতুন ও তানোর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান।
খবর২৪ঘন্টা/নই