মামুনুর রশিদ মামুন, তানোর : এ যেন কোন হলুদ রাজ্য। মৌমাছির গুঞ্জনে এ রাজ্যে মন হয়ে ওঠে চনমন। দিগন্ত জুড়ে সবুজ মাঠ এখন হলুদের দখলে। অগ্রহায়নের হিম-শীতল বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের হাসি। বিস্তীর্ণ মাঠে সরিষার হলুদ ফুলের নয়নভিরাম দৃশ্য। কম খরচ, কম সময়, কম ঝামেলায় ফলন বেশি হওয়া এটিকে কৃষকের লাভের ফসল বলা হয়। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে তানোরে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবছর ১৭হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি অধিদপ্তর আরও জানায়,এক বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করতে কৃষকের খরচ হয় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। বর্তমানে মানভেদে প্রতিমণ সরিষা বিক্রি হচ্ছে ২৫শ থেকে ৩ হাজার টাকায়। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এই উপজেলার কৃষকরা বারি ১৪, বারি১৫, বারি ১৭, বিনা ৪,বিনা ৯ ও বিএডিসি জাতের সরিষা কৃষকরা চাষ করেছে। তবে চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় উন্নত জাতের সরিষা চাষ হচ্ছে। রোপণের ৭৫ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যায়। আবার অনেক কৃষক সরিষা উঠিয়ে একই জমিতে ইরি-বোরো ধান রোপন করবে।
এনিয়ে উপজেলার কামারগাঁ ইউপির কামারগাঁ গ্রামের জাকির হোসেন জুয়েল জানান,প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। সরিষা চাষে শ্রম কম।অন্যান্য ফসলের তুলনায় রোগ বালাইও কম।শুধু রোপণের সময় একবার সার প্রয়োগ করে সরিষা রোপন করা হয়। শেষ পর্যন্ত একবার থেকে দুইবার শেষ দিলেই চলে । অতিরিক্ত সার ব্যবহার করতে হয় না। তাই কম খরচে সরিষা চাষে লাভবান হওয়া যায়।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামিউল ইসলাম এই প্রতিবেদককে জানান,উপজেলার কৃষকরা আমন কাটার পরে জমিতে সরিষা বুনেছে।সম্পূরক রবিশস্য হিসেবে সরিষা চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হয়েছে।এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উপজেলায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি জানান।