1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
তরুণীকে গলা কেটে হত্যা, লকডাউনে ফিরছিলেন বাড়ি - খবর ২৪ ঘণ্টা
রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫ পূর্বাহ্ন

তরুণীকে গলা কেটে হত্যা, লকডাউনে ফিরছিলেন বাড়ি

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ৭ মে, ২০২০

কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের চকরিয়ায় চলন্ত সিএনজিতে এক তরুণীকে গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ ফেলে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চকরিয়া-পেকুয়া-বাঁশখালী আঞ্চলিক সড়কের চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়নের মরংঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মরদেহটির মুখ ওড়নায় পেঁচানো অবস্থায় ছিল। তাই ধারণা করা হচ্ছে তাকে গাড়িতেই হত্যার পর রাস্তায় ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। রাত সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান।

হত্যার শিকার তরুণী চম্পা খাতুন (১৭) কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ার নয়াপাড়ার নছিমনচালক রুহুল আমিনের বড় মেয়ে ও রামুর তেচ্ছিপুল এলাকার শাহ আলমের স্ত্রী। লকডাউন শুরুর আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ফুফুর বাসায় বেড়াতে গিয়ে মা-বাবার জন্য মন কাঁদায় শত নিষেধের পরও বুধবার লকডাউন ঝুঁকিতে সিএনজিযোগে তিনি কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হয়ে চকরিয়া এসে হত্যার শিকার হন।

চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে কোনাখালী ইউনিয়নের মরংঘোনা এলাকায় রাস্তার ওপর একটি মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ রাত সোয়া ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, একটি সিএনজিচালিত বেবিট্যাক্সি থেকে তার গলাকাটা মরদেহটি ফেলে দেয়া হয়। ওড়নায় মুখ পেঁচানো মরদেহ থেকে পিচঢালা সড়কের ওপর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তরুণীকে গাড়িতেই হত্যা করে ওই জায়গায় ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গাড়ি এবং হত্যাকারীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। প্রথমে তার পরিচয় না পেলেও কক্সবাজার থেকে তরুণীর মা-বাবা ও স্বজনরা থানায় এসে পরিচয় শনাক্ত করেন।

চম্পার মামা কলিম উল্লাহ জানান, দরিদ্র পিতা হিসেবে যৌতুক দিতে অসমর্থ হওয়ায় রামুর তেচ্ছিপুলের শাহ আলম নামে এক যুবককে ঘরজামাই রেখে সুশ্রী চম্পাকে ৫-৬ মাস আগে বিয়ে দেয়া হয়। কোনো কারণে পরিবারের ওপর মন খারাপ করে মার্চের শুরুর দিকে চম্পা কাউকে কিছু না বলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে তার ফুফুর বাসায় চলে যান। সেখানে কয়েকদিন থাকার পরই শুরু হয় লকডাউন। রাগ কমে গেলে বাড়ি চলে আসার জন্য পীড়াপীড়ি করছিল চম্পা। এ কঠিন মুহূর্তে আসতে বারণ করা হচ্ছিল বারবার। কিন্তু বুধবার সকালে জেদ ধরে বলে পায়ে হেঁটে হলেও বাড়ি চলে আসবে। তখন তার বাবা তার জন্য এক হাজার টাকা বিকাশে পাঠায়। তার ফুফাতো ভাই তাকে নতুন ব্রিজ এলাকায় এসে একটি সিএনজিতে তুলে দেয়।

তিনি জানান, সর্বশেষ যখন তার সাথে যোগাযোগ হয় তখন সে চকরিয়ার জনতাবাজার (গরুবাজার) পর্যন্ত এসেছে বলে জানিয়েছিল। মহাসড়ক দিয়ে গাড়ি না আসায় উপকূলীয় সড়ক দিয়ে কক্সবাজার নেয়ার কথা বলে আরেকটি সিএনজিতে ওঠে বলে চট্টগ্রাম থেকে আসা সিএনজিচালক জানিয়েছিল। এটি সন্ধ্যার আগে। কিন্তু এরপরই চম্পার সাথে পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। বাবা-মার অস্থিরতা বাড়ার পর রাত ১১টার দিকে সড়কে মরদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে সবাই চকরিয়া থানায় এসে গলাকাটা মরদেহটি চম্পার বলে শনাক্ত করে।

কলিম উল্লাহর মতে, লকডাউনে চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফেরার জন্য বের হওয়াটা-ই কাল হলো তরুণী চম্পার। তার অনাকাঙ্ক্ষিত মর্মান্তিক মৃত্যুতে তার মা-বাবার বুকফাটা কান্না সবাইকে অশ্রুসিক্ত করছে। এমন সুশ্রী চঞ্চল মেয়েটিকে কোন অপরাধে হত্যা করলো নরপিশাচরা তা বের করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ ও দাবি জানান কলিমসহ চম্পার পরিবার।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST