1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
ঢাবি: হলে থাকার সাহস কে দিয়েছে বলেই ছাত্রকে মারধর করলো ছাত্রলীগ - খবর ২৪ ঘণ্টা
মঙ্গলবার, ০৭ জানয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন

ঢাবি: হলে থাকার সাহস কে দিয়েছে বলেই ছাত্রকে মারধর করলো ছাত্রলীগ

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল সংসদ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী হয়েছিলেন ফরিদ হাসান। তিনি ওই হল শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ছাত্রলীগ থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। তখন অভিযোগ উঠেছিল, বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করে তাঁকে হল থেকে বিতাড়িত করেছে ছাত্রলীগ। সেই ঘটনার সূত্র ধরে গতকাল সোমবার রাতে এসএম হল সংসদের জিএস জুলিয়াস সিজার ও হল শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে তাঁকে আবারও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।

মারধরের শিকার ফরিদ হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র। মারধরে আহত ফরিদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁর কপালের ডান পাশ থেকে ডান কান পর্যন্ত ৩২টি সেলাই পড়েছে।

হল সংসদের জিএস জুলিয়াস সিজারের অভিযোগ, ফরিদ মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িত। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফরিদ। ফরিদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ তদন্তে আজ একটি কমিটি গঠন করবে হল প্রশাসন।

ফরিদ অভিযোগ করেন, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এসএম হলে নিজের কক্ষে (১৫৯ নম্বর) ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ওয়াসিফ হাসান পিয়াসের নেতৃত্বে কয়েকজন নেতা তাঁর কক্ষে গিয়ে তাঁকে বের হতে বলেন। তাঁরা ফরিদকে টানাহেঁচড়া করে হলের ডাইনিং কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে ছিলেন হল সংসদের জিএস জুলিয়াস সিজার, হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস, বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান পিকুলসহ কয়েকজন। প্রথমে তাপস ফরিদের ওপর চড়াও হন। তাঁরা ফরিদকে বলতে থাকেন, ‘তোকে হলে থাকার সাহস কে দিয়েছে?’ ডাইনিং কক্ষে হল সংসদের জিএস জুলিয়াস সিজারের সামনেই ছাত্রলীগ নেতারা ফরিদকে মারধর করেন। পরে মারধর থেকে বাঁচতে দৌড়ে হল থেকে পালিয়ে যান তিনি। ফরিদ জানেন না তাঁকে কেন মারধর করা হয়েছে। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের আগে তাঁর কক্ষে চারটি ইয়াবা রেখে তাঁকে হয়রানি করা হয় বলেও অভিযোগ তাঁর।

তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হল সংসদের জিএস জুলিয়াস সিজার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এসএম হল সংসদ ও হল শাখা ছাত্রলীগের মধ্যে সোমবার রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত একটি সভা হয়েছে। সভায় মাদক ও ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গৃহীত হয়েছে। ফরিদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। ফরিদের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতির প্রথম প্রয়োগ হয়েছে। তাঁকে কোনো ধরনের মারধর করা হয়নি, ভদ্রভাবে হল ছাড়তে বলা হয়েছে। উত্তেজিত হয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁকে মারধর করে থাকলে সেটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিষয়।

এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানায়, মূলত ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হওয়ার কারণেই ফরিদের ওপর ক্ষোভ ছাত্রলীগের। তাঁকে হলে থাকতে না দেওয়ার ব্যাপারে হল শাখা ছাত্রলীগের কয়েকটি পক্ষের নেতারা একমত। তবে হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফরিদের জনপ্রিয়তা আছে।

জানতে চাইলে এসএম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার প্রথম আলোকে বলেন, ফরিদের বিরুদ্ধে এর আগেও বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাই করতে আজ মঙ্গলবার হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র: প্রথম আলো

খবর ২৪ ঘণ্টা/আর

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST