খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: ঢাকা শহরে ধুলায় দূষণ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি রোধ করতে তিন দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ সব অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা দেন।
ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে গত রোববার এ রিট আবেদনটি করা হয়।
অন্তর্বর্তীকালীন তিন দফা নির্দেশনা হচ্ছে-
যে সব স্থানে ধুলাবালি সৃষ্টি হচ্ছে সেখানে আদেশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সকালে ও বিকেলে দুই বেলা পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
যেসব জায়গায় উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ চলছে এবং যেসব জায়গা থেকে ধুলোবালির উৎপত্তি হচ্ছে সেসব জায়গা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঢেকে দেওয়ার পর কাজ করার পদক্ষেপ নিতে সিটি করপোরেশন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা শহরে যারা বায়ুদূষণ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সপ্তাহে দুই বার পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা।
নির্মাণাধীন জায়গা ঢেকে দেওয়া ও পানি ছিটানোর পদক্ষেপ সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে হাইকোর্টে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন এইচআরপিবির সভাপতি আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি জানান, আদালত অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ রোধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। পরিবেশ আইন ১৯৯৫ এর অধীনে ১৯৯৭ সালে সালে যে বিধিমালা হয়েছে তাতে বায়ু দূষণের সর্বোচ্চ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ঢাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন ও সংস্কারমূলক কাজ চলছে। কিন্তু ওয়ার্ক অর্ডারে দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন শর্ত থাকলেও যারা কাজ করছেন তারা তা মানছেন না। যে কারণে ভয়াবহ দূষণের শিকার হচ্ছেন ঢাকার লাখ লাখ মানুষ। এ কারণেই এই রিট আবেদনটি করা হয়।’
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন