1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
‘ঢলন’ না দেয়ায় কৃষিপণ্য কিনছে না ব্যবসায়িরা; প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ - খবর ২৪ ঘণ্টা
শুকরবার, ০৩ জানয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন

‘ঢলন’ না দেয়ায় কৃষিপণ্য কিনছে না ব্যবসায়িরা; প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২০

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর পুঠিয়ায় ঢলন দিতে অস্বীকার করায় বিক্রেতাদের কৃষিপণ্য কিনছে না ব্যবসায়িরা। এ ঘটনায় প্রায় এক ঘন্টা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে খেজুর গুড় রেখে অবরোধ করেন বিক্রেতারা। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে পৌরসভার ঝলমলিয়া হাটে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, প্রতি হাটবারে ভোর থেকে ঝলমলিয়া হাটে কেনা বেচা শুরু হলেও আজ বৃহস্পতিবার ছিল তার ব্যতিক্রম। বিক্রেতারা প্রতিমণে দুই থেকে তিন কেজি ঢলন না দেয়ায় ব্যবসায়িরা মালামাল ক্রয় করেনি। এ ঘটনায় পুরো গুড় হাট জুড়ে বিক্রেতাদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ বিক্রেতারা সকাল ৯ টা থেকে প্রায় ১০ টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এদিকে ব্যবসায়িরা গুড় না কেনায় বিক্রেতারা তা ফেরৎ নিয়ে গেছেন।

খেজুরের গুড় বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ইউএনও স্যার আজ সকালে হাটে এসে আমাদের বলেছেন ৪০ কেজিতে মণ হিসাবে বিক্রি করতে। আর ব্যবসায়িদের দাবী ৪২ কেজিতে মণ নেবেন। যার কারণে আজ সকাল থেকে কোনো ব্যবসায়ি আমাদের গুড় ক্রয় করেনি। এতে আমরা মহাসড়কে গুড়ের ডালি রেখে প্রতিবাদ জানিয়েছি। আর যেহেতু কোনো গুড় কেনা বেচা হয়নি তাই সকল বিক্রেতারা তাদের গুড় ফেরৎ নিয়ে গেছেন।

গুড় ব্যবসায়ি আনারুল ইসলাম বলেন, ৪০ কেজিতে মণ হিসাবে গুড় কিনে প্যাকেট করে তা মোকামে বিক্রি পর্যন্ত প্রতিমণে এক কেজি কমে যায়। যার কারণে আমরা বিক্রেতাদের নিকট থেকে এক কেজি ঢলন নেই। আজ বিক্রেতারা ঢলন দিতে না চাওয়ায় কোনো ব্যবসায়ি গুড় কিনছেন না।

এ বিষয়ে ঝলমলিয়া হাট ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি মুন্সি শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঢলন প্রথা নিরসনে সম্প্রতি মাননীয় সাংসদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বানেশ্বর বাজারে কৃষক ব্যবসায়িদের সাথে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে সকলের সম্মতিতে ডিজিটার পাল্লায় ৪০ কেজিতে মণ নির্ধারণ করা হয়। আগের যে ঢলন প্রথা ছিল তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। আগে একজন চাষি এক মণ ফসল বিক্রি করতে এসে প্রকার ভেদে ২ থেকে ৮ কেজি পর্যন্ত ঢলন দিতে হতো। এটা কৃষকদের উপর জুলুম করা হতো। আমি আশা করবো সকল ব্যবসায়িরা ৪০ কেজিতে মণ হিসাবে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা মেনে কেনাবেচা করবেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, ঝলমলিয়া হাটে আগত খেজুরের গুড় বিক্রেতা ও ব্যবসায়িদের মধ্যে ঢলন নিয়ে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। এক পর্যায়ে গুড় বিক্রেতারা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে প্রতিবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, ঝলমলিয়া হাটে ঢলন নিয়ে আজ যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তার সমাধান নিয়ে আমরা কাজ করছি।

উল্লেখ্য, গত ২৪ অক্টোবর উপজেলার বানেশ্বর বাজারে ৪০ কেজিতে মণ নির্ধারণের দাবীতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন হাটে মালামাল বিক্রি করতে আসা কৃষকরা। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিশ্রæতিতে তারা অবরোধ তুলে নেয়। ওই ঘটনার পরের দিন বানেশ্বর ব্যবসায়ি সমিতির অফিসে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বর্তমান সাংসদ ডাঃ মনসুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ, থানা পুলিশসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষক ব্যবসায়িরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সর্বসম্মতিতে ঢলন প্রথা বিলুপ্ত করে ৪০ কেজিতে এক মণ নির্ধারণ করা হয়। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪০ কেজিতে মণ হিসাবে সকলকে বেচাকেনা করতে বিভিন্ন হাট-বাজার গুলোতে প্রচারনা করা হয়।

জে এন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST