খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রফিকুল আমিন কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে রয়েছেন, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) বিষয়টির খোঁজ নিয়ে আদালতকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্থপাচারের মামলায় রফিকুল আমিনের জামিন আবেদনের শুনানিকালে বুধবার (২২ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু ও মো. মাইনুল হোসেন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘অর্থপাচারের অভিযোগে দায়ের হওয়া দুই মামলায় ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রফিকুল আমিনের জামিন আবেদনের ওপর বুধবার শুনানি হয়েছে। শুনানিকালে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এবং দুদক তাদের পক্ষ থেকে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত নিউজ আদালতের সামনে তুলে ধরি। ওই নিউজে ডেসটিনি এমডিসহ আরও কয়েকজন শীর্ষ আসামি দীর্ঘদিন কীভাবে হাসপাতালে রয়েছেন, সেসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আদালত আমাদের সব পক্ষের শুনানি নেন। শুনানি শেষে ডেসটিনির চেয়ারম্যান ও এমডিকে জামিন না নিয়ে তাদের আবেদন নিয়মিত কোর্ট খোলা পর্যন্ত মুলতবি করেন। একইসঙ্গে ডেসটিনির রফিকুল আমিন কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে রয়েছেন, সে বিষয়ে জানাতে দুদককে নির্দেশ দেন।’
এর আগে এই দুই মামলায় পৃথক পৃথক চারটি আবেদনে মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে জামিন চেয়েছিলেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আদালত শুনানি নিয়ে জামিন না দিয়ে নিয়মিত কোর্ট খোলা পর্যন্ত মুলতবি করেছেন। একইসঙ্গে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কীভাবে দীর্ঘ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকছেন, সে বিষয়ে দুদককে আবেদন করতেও পরামর্শ দিয়েছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় অর্থপাচারের অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। দুদকের করা এসব মামলায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ থেকে অর্থ অন্যত্র স্থানান্তরের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় গত ২১ জুলাই তারা জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
খবর২৪ঘন্টা/নই