রাবি প্রতিনিধি : সারাদেশে মহামারি আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু রোগ। ইতিমধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাবি, জাবির দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এর প্রভাবে আতঙ্কে দিন পার করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরাও। এরই মধ্যে রাবির ৯ জন শিক্ষার্থী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রকোপ মোকাবেলায় বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরের ড্রেন পরিস্কারসহ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে আহবান জানাচ্ছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন,“ডেঙ্গু বর্তমানে মহামারি আকার ধারণ করেছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে মশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্যাম্পাসের ড্রেনগুলো সংষ্কার করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে এখনই প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়া উচিত। একবার সংক্রমন শুরু হয়ে গেলে তা বিরাট আকার ধারণ করতে পারে”।
তাপসী রাবেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সম্পা সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, হলে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে, মশারী ছাড়া ঘুমানোই যায়না। তবে এখনও মশা নিধনে হল প্রশাসন বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কের সাথেই দিন পার হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ বকুল বলেন, রাজশাহীতে এখনও ডেঙ্গুর প্রকোপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে ক্যাম্পাসে গাছ-ঝোপঝাঁড় থাকায় বিভিন্নস্থানে মশা বিস্তারের সুযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত অতিদ্রুত সেগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা এবং মশা বংশ বিস্তার রোধে কাজ করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার নাজিম উদ্দিন বলেন, জ্বর নিয়ে অনেক রোগী আসছেন। আমাদের কাছে ডেঙ্গু আক্রান্ত মনে হয়নি তাদেরকে। আর রাজশাহীতে প্রকোপও কম। কিন্তু যারা ঢাকা থেকে আসছেন তাদেরকে সচেতন থাকতে হবে।
এদিকে মশক নিধনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. লায়লা আরজুমান বানু বলেন, ৯ শিক্ষার্থী আক্রান্ত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে তারা বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে ক্যাম্পাসে এসেছে। তাদের নাম জানা যায়নি। এছাড়া ক্যাম্পাসে এডিস মশার বিস্তার নেই। তবুও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান চলছে প্রতিনিয়ত। ক্যাম্পাসে মশার বিস্তার রোধে বিভিন্ন স্থানে ড্রেন পরিস্কার করা হচ্ছে।