আগামী বুধবার ১২ জুলাই রাজধানীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সমাবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে কি না তা আগে পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
সমাবেশ থেকে যুগপৎ আন্দোলনের এক দফার ঘোষণা আসার কথা রয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
তবে ডিএমপির পক্ষ থেকে এখনো মেলেনি আনুষ্ঠানিক অনুমতি।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, বিএনপির পক্ষ থেকে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা সেটা পেয়েছি এবং পর্যালোচনা করব।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে কি হবে না, পরিবেশ পরিস্থিতি কেমন হতে পারে সেটা পর্যালোচনা করার জন্য ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারপর বিষয়টি দেখা হবে।
এ বিষয়ে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপি তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায়। তারা আবেদন করে অনুমতি চেয়েছেন। ডিএমপি কমিশনার কার্যালয় থেকে আজ রোববার চিঠির অনুলিপি পেয়েছি। সমাবেশের অনুমতি পাবে কি না সেটা পর্যালোচনা করে জানাতে বলা হয়েছে। আমরা পর্যালোচনা করছি। অনুমতি পাবে কি না সেটা কমিশনার কার্যালয় দেখবে।
বড় ধরনের শো-ডাউন করতে প্রস্তুত বিএনপি
ঢাকা মহানগর বিএনপির সূত্র বলছে, সমাবেশে বড় ধরনের শো-ডাউন করতে ইতোমধ্যে কয়েকবার প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। সমাবেশে সফল করতে যৌথ সভা করা হয়েছে। সভা থেকে ঢাকা জেলা ও আশপাশের জেলার নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বড় ধরনের লোক সমাগম করতে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আমিনুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, সমাবেশ সফল করতে আমরা যৌথ সভা করেছি। সভা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ সফল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১২ তারিখের সমাবেশ থেকে এক দফার আন্দোলনের ঘোষণা এবং নতুন কর্মসূচি আসবে।
আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামী থাকবে কিনা সিদ্ধান্ত হয়নি
গতকাল শনিবার ৮ জুলাই নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের (ভার্চুয়ালি) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রায় এক ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নয়াপল্টনের এই বৈঠকের পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের ভাড়াবাসা ফিরোজায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর পর রাতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা হয়। মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকসূত্রে জানা যায়, আগামী ১২ জুলাই একই দিনে সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোট নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে একদফা আন্দোলনের চূড়ান্ত ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যুগপৎ আন্দোলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থাকবে কিনা, এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি দলটি।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
সুত্র- চ্যানেল আই অনলাইন