খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক: তিন কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের বিতর্কিত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও তার পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবারই এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হতে পারে। এর আগে রবিবার মামলার অনুমোদন দেয় দুদক।
ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান স্বপন ও ভাগনে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসানও মামলায় আসামি হচ্ছেন।
দুদকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপপরিচালক জানান, গতকাল দুদক বিধিমালা ২০০৭-এর সংশোধনীর প্রজ্ঞাপন জারি হয়। সংশোধিত বিধিমালা অনুসারে এখন থেকে দুদক নিজস্ব সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা করবে। আর ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধেই প্রথম মামলাটি হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
এদিকে দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ডিআইজি মিজান যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে জন্য ইমিগ্রেশন বিভাগে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
প্রসঙ্গত, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান চালায় দুদক। গত মাসে ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। অনুসন্ধান করেন দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছির।
কিন্তু তার বিরুদ্ধে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করে বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বাঁচতে এনামুল বাছিরকে দু’দফায় ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন তিনি। পরে এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
গত ২৩ মে ডিআইজি মিজানুর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন এনামুল বাছির। আগের ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন আমলে নেয়নি দুদক।
গত বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান রেখে অপর এক নারীকে জোরপূর্বক বিয়ে ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।
এছাড়া এক নারী সংবাদ পাঠিকাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আসে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ ওঠার পর তাকে ডিএমপি থেকে সরিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন