খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার কারণ জানাতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল।
গতকাল সকালে জনস্বার্থে সংশ্লিষ্টদের ই-মেইলে মানবাধিকারকর্মী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এম জামিউল হক ফয়সালের পক্ষে অপর আইনজীবী ব্যারিস্টার গাজী ফরহাদ রেজা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এ নোটিশ প্রেরণ করেন। নোটিশ প্রাপ্তির দুই দিনের মধ্যে জবাব না পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়।
নোটিশ দাতা অ্যাডভোকেট জামিল হক ফয়সাল বলেন, ডা. ফেরদৌস খন্দকার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের সুপরিচিত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। তিনি গত রোববার বাংলাদেশের মানুষকে সেবা দিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন করোনাভাইরাসে সম্মুখসারির যোদ্ধাদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী। ট্যাক্স এর জন্য সেগুলো আটকে রাখা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে বাসায় যেতে না দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে হজ ক্যাম্পে রেখেছে। অথচ ওই দিন চীন থেকে আগত মেডিকেল টিমকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়নি।
নোটিশে বলা হয়, ম্যানহাটনের প্রাচীনতম মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ নিউইয়র্কে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের কাছে বড় আশা ও ভরসার প্রতীক। করোনাভাইরাসের ভয়ে যেখানে বিশ্বের অনেক বাঘা বাঘা ডাক্তার তাদের চেম্বার বন্ধ করে অন্দরে ঢুকে গেছেন , সেখানে নিউইয়র্কের মতো মৃত্যুপুরীতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন ডা. ফেরদৌস।
রোববার তিনি দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে। তবে পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়, তাকে এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে দেয়া হয়নি।
নোটিশে বলা হয়, দেশের এই ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ সরকার ডা. ফেরদৌস খন্দকারদের মত মানুষদের খুঁজছে। তিনি শুধুমাত্র প্লাজমা হিরো হিসেবে শুধু নন একজন প্রথিতযশা ডাক্তার হিসেবে দেশের অনেক মানুষের উপকারে আসতে পারেন। ৭ই জুন বিকাল ৪ টা ৪৫ মিনিটে কাতার এয়ারওয়েজের দ্বিতীয় বিশেষ বিমান দেশটির নিউইয়র্ক থেকে ১১২ বাংলাদেশিকে নিয়ে দেশে ফিরে। এর আগে গত ১৫ই মে যুক্তরাষ্ট্রে আটকে থাকা ২৪২ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে কাতার এয়ারওয়েজের প্রথম বিশেষ বিমান ওয়াশিংটন থেকে দেশে ফেরে । এছাড়া যেহেতু ৮ই জুন করানা মোকাবেলায় চীন থেকে চীনের বিশেষজ্ঞ দল ঢাকায় এসেছেন । তাদের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সমান বিবেচনা প্রসূত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি, যেটি বাংলাদেশের সংবিধানে প্রদত্ত মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। খবর২৪ঘন্টা/এবি