ডলার কারসাজিতে জড়িত থাকায় পাঁচটি দেশি ও একটি বিদেশি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার (৮ আগস্ট) দেশি-বিদেশি এই ছয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।
ব্যাংকগুলোর নামোল্লেখ না করে তিনি বলেন, খোলা বাজারে ডলারের অবৈধ ব্যবসা করছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ পর্যন্ত পাঁচটি মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত এবং ৪৫ মানি এক্সচেঞ্জকে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়া লাইসেন্স না থাকায় আরও ৯টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া সত্বেও ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও কমেছে। সোমবার (৮ আগস্ট) বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে প্রতি মার্কিন ডলার ৯৫ টাকা দরে বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও রোববার এ দাম ছিল ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ৩০ পয়সা।
অন্যদিকে, খোলাবাজারে ডলার সংকট আরও তীব্র হয়েছে। এতে আজও চড়া দামে ডলার বিক্রি হয়েছে। খোলাবাজারে ১১৫ টাকা পেরিয়ে গেছে। এর আগে কখনও একদিনে ডলারের দর এত বাড়েনি।
সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে কার্ব মার্কেটে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১১৫ টাকা ৬০ পয়সায়। তারপরও চাহিদা অনুযায়ী ডলার পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। এর আগে ২৭ জুলাই খোলা বাজারে সর্বোচ্চ দরে ডলার বিক্রি হয় ১১২ টাকায়। সুত্র-বাসস
বিএ/
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।