কক্সবাজারের টেকনাফে মাদক মামলায় গ্রেফতার আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে খোরশেদ আলম (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানির ছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত খোরশেদ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানির ছড়া এলাকার হাজী গোলাম হোসনের ছেলে। গ্রেফতার আসামি শামশুল আলম (কালা শামসু) নিহতের বড় ভাই। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এএসআই মো. রতন মিয়া, কনস্টেবল শরিফুল ও বলরাম নামে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবির ছড়া এলাকার মাদকসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি শামসুল আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় গ্রেফতারের বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে হঠাৎ তার লোকজন অস্ত্র নিয়ে মিঠাপানির ছড়া বাজারে শামসুকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় গোলাগুলিতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ঘটনাস্থল থেকে মানিলন্ডারিং ও মাদক মামলার আসামি খোরশেদ আলম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জাকারিয়া মাহমুদ বলেন, গুলিবিদ্ধ এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার বুকের বাম পাশে গুলি লাগে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। আহত তিন পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে।
ওসি হাফিজুর রহমান আরও জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে টেকনাফ হাসপাতালে ছুটে আসেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ও উখিয়া-টেকনাফ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাকিল আহমেদ।
নিহতের আরেক ভাই শাহীন আলম জানান, শামসুল আলমকে গ্রেফতারের খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান খোরশেদ আলম। পরে সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেএন