বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধি :জীবন-জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবের হাম্মাম শহরে কাজে গিয়েছিলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গোকুলপুর গ্রামের বাবুল ইসলাম নামের এক যুবক। স্থানীয় আমির গাজির মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ৮ মাস আগে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে সেই দেশে যান তিনি। কিন্তু বৈধ ভিসা না থাকার কারণে ভাল কোন কাজও ভাগ্যে জুটেনি তার। সব মিলিয়ে সেই দেশে জীবন কাটছিলো দুঃচিন্তায়। এক সপ্তাহ আগে পরিবারকে জানিয়েছিলো,দেশে ফিরে আসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই তার। এরই মধ্যে মৃত্যর হাতছানিতে সে আশাও পূরণ হলোনা তার। গত ১৯ জুলাই বৃহসপতিবার রাতে তার এক সহকর্মীর মাধ্যমে জানতে পারে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে বাবুল মারা গেছে ।
পরিবারে কাছে খবরটা মনে হয়েছে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। আজো থামেনি প্রিয়জন হারানোর কান্নার রোল। অর্থাভাবে মরাদেহ দেশে আনা নিয়েও দিশেহারা হতভাগার পরিবারটি।
রোববার লাশ দেশে আনার জন্য বাঘা থানার অফিসার ইনচাজের্র শরাপন্ন হয়েছিলেন মরহুম বাবুলের বড় ভাই আশাদুল ইসলাম। তিনি জানান, বর্তমানে তার মরাদেহ সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের খোরা’র হাসপাতালে রাখা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন। মৃত্যুর আগে সৌদি আরবের হাম্মাম শহরে শ্রমিকের কাজ করতো বাবুল।
উপজেলার তথা কথিত আদম ব্যবসায়ী আমির গাজীর মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে সে দেশে পাঠানোর পর ভালো কোন কোম্পানীতে কাজ পায়নি বলে জানিয়েছিলো তার ছোট ভাই বাবুল। কিন্তু কথা ছিলো কোম্পানীতে স্থায়ী কাজ দেওয়ার। সেই কথামতে গত ৮ মাসেও তাঁর ভাইকে কোন কাজ দিতে পারেনি। জীবন বাঁচানোর তাগিদে সেখানে অস্থায়ীভাবে এক কোম্পানীতে কাজ করতো। যে কারণে মানুষিক দুঃচিন্তা পেয়ে বসেছিলো তাকে।
আমির গাজির সাথে কথা হলে তিনি সৌদি আরব পাঠানোর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বাবুল ইসলামকে ঢাকায় অবস্থিত এনাম ট্রাভেল্সে এর মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিলো ।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল হাসান বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।