1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পুঠিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের পাঠদান - খবর ২৪ ঘণ্টা
মঙ্গলবার, ০৭ জানয়ারী ২০২৫, ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পুঠিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের পাঠদান

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০১৯

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: ঝুঁকিপূর্ণ ভবন দিয়ে চলছে পুঠিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের পাঠ দান। এতে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও ছাত্রীরা আভিযোগ করেছেন। বিদ্যালয়টি পুঠিয়া উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রের একমাত্র বালিকা বিদ্যালয়। গত ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনামের সাথে পাঠদান প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে বিদ্যালয়টি। বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৬’শতাধিক শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যালয়ে পাঠদন করছে। প্রতিবছর জেএসসি ও এস.এস.সির ফলাফলে উপজেলার অন্যান্য বিদ্যালয়ের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার সময় এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। যা বিদ্যালয়ের মূল ভবন হিসেবে পরিচিত। এই ভবনটির মোট ৬টি কক্ষের মধ্যে তিনটি কক্ষ প্রশাসনিক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করা হয়। বাকি তিনটি কক্ষ শ্রেণী কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গত ১০ বছর ধরে এই ভবনটির সবকয়টি কক্ষের উত্তর পার্শ্বের দেওয়ালে ফাটল ধরে। সেসময় ফাটল থেকে রক্ষার জন্য ভবনটির বাহির

রির্টানিং ওয়াল দেওয়া হয়। তবে ভবনটির উত্তর পার্শ্বের পুঠিয়া সরকারী পিএন হাইস্কুলের পুকুর রয়েছে। পুকুরটি বালিকা বিদ্যালয়ের উত্তর পার্শ্বের ভবনের পুরো ওয়াল জুড়ে বিস্তৃত। বর্ষকালে পানি বেড়ে যাওয়া এবং আধুনিক মাছ চাষ করায় পুকুরটির পাড় ভেঙ্গে বালিকা বিদ্যালয়ের ভবনের সাথে সংযুক্ত হয়ে গেছে। পুকুরের পাড় ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে বালিকা বিদ্যালয়ের দেওয়ালে ফাটলের সৃষ্টির একমাত্র কারণ। বর্তমানে ফাটলটি বড় আকার ধারন করেছে। যে কোন সময় ভবনটির ওয়াল ধসে পড়তে পারে। বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাবিলা রহমান ও ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কারিমা খাতুন মায়া জানায়, আমারা ঝুকিপূর্ণ ভবনের মধ্যে পড়াশুনা করছি। ভবনটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ার কারণে আমরা অতঙ্কে থাকি। কখন যে ভবনিটি ভেঙ্গে পড়ে। এতে আমরা পড়াশুনায় মননিবেশ ব্যহত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এর কোন সঠিক সমাধান হয়নি। যে কোন সময় দেওয়ালটি ভেঙ্গে পড়তে পারে। এর পর হয়তো কোন

সঠিক সমাধান হবে। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মাজাহারুল ইসলাম ও সিনিয়র সহকারী শিক্ষক নিলুফা সুলতান বলেন, কখন যে ভনটির দেওয়াল ভেঙ্গে পড়ে শিক্ষার্থীরা এ আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস করছে। এই ভবনটির দ্রুত সংস্কারের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। তা না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, গত ১০ বছরে যখন যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসেন তার কাছে আমি এ বিষয়ে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। মৌখিক আশ্বাস তার দেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। এছড়াও তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের অনান্য ভবনগুলোও ঝুকিপূর্ণ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে দরখাস্ত দেওয়া আছে বলে তিনি জানান। এব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার জহীদুল হক বলেন, আমরা ভবনের বিষয়টি দেখিনা। এটি দেখে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। সেখানে যোগাযোগ করা পরামর্শ দেন তিনি।

এস/আর

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST