1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
জোয়ারের পানিতে ভাসছে উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা - খবর ২৪ ঘণ্টা
রবিবার, ১২ জানয়ারী ২০২৫, ০:০১ পূর্বাহ্ন

জোয়ারের পানিতে ভাসছে উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে টানা বৃষ্টি ও অমাবস্যার প্রভাবে গত তিন দিন ধরে জোয়ারের পানিতে ভাসছে উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রতিদিনই ডুবছে চট্টগ্রাম, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ দেশের নিম্নাঞ্চলগুলো। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, অতি জোয়ারের কারণে শুক্রবারও (২১ আগস্ট) পানিতে ভাসবে উপকূল।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর প্রথম ভাটা শুরু হয়েছে রাত ১টা ৫৭ মিনিটে, প্রথম জোয়ার শুরু হয় সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে। দ্বিতীয় ভাটা শুরু হবে দুপুর ২টা ১২ মিনিটে, দ্বিতীয় জোয়ার শুরু হবে রাত ৯টা ২১ মিনিটে।

তবে আন্তর্জাতিক জোয়ার-ভাটা পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান টাইড ফোরকাস্ট জানিয়েছে, শুক্রবার চট্টগ্রাম উপকূলে সর্বোচ্চ জোয়ার হবে বিকেল ২টা ২৮ মিনিটে। এ সময় জোয়ারের উচ্চতা হবে ৪ দশমিক ৮১ মিটার। গতকাল জোয়ারের উচ্চতা ছিল সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৮৪ মিটার।

গতকাল বৃহস্পতিবার অমাবস্যায় অতি জোয়ারে নগরের বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদ ও খাতুনগঞ্জসহ বেশকিছু এলাকা হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ রোড, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সামনের রাস্তা, মা ও শিশু হাসপাতালের নিচ তলা, জাম্বুরি মাঠের দুই পাশ। পাশাপাশি জোয়ারের পানিতে দেশের সবচেয়ে বড় খাদ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ, পাথরঘাটা, আছদগঞ্জ শুঁটকি পট্টি, রশিদ বিল্ডিং এলাকা। এ অবস্থায় গতকালের প্রায় সমান উচ্চতার জোয়ার আজও চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকা ডোবাবে।

চট্টগ্রামের মতই দেশের উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা আজও জোয়ারের পানিতে ভেসে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক জোয়ার-ভাটা পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান টাইড ফোরকাস্ট এমনটাই জানিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ওয়াবসাইটে প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় সাতক্ষীরা উপকূল (হিরণ পয়েন্ট) আজ দুইবার উচ্চ জোয়ারে ভাসবে। প্রথম দফা জোয়ার হবে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে। জোয়ারের উচ্চতা থাকবে ৩ দশমিক ৫০ মিটার। দিবাগত রাত ১২টা ৭ মিনিটে দ্বিতীয় দফা জোয়ারের উচ্চতা হবে ৩ দশমিক ৪৫ মিটার।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, অতি জোয়ারে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে জেলার নেবুবুনিয়া এলাকার খোলপেটুয়া নদীর উপকূলরক্ষা বাঁধ ভেঙে যায়। উপকূলীয় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের দুটি গ্রাম।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার মাসুদ রানা জানান, নদীতে জোয়ারের চাপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নেবুবুনিয়া এলাকার বাঁধ ভেঙে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাঁধরক্ষার জন্য কাজ চলছে।

খুলনার পশুর নদীতেও আজ দুই দফায় উচ্চ জোয়ার হবে। টাইড ফোরকাস্টের হিসেবে, প্রথম সর্বোচ্চ জোয়ার বেলা ১১টা ২৭ মিনিটে হওয়ার কথা। এ সময় জোয়ারের উচ্চতা হবে ৩ দশমিক ৫২ মিটার। দিবাগত রাত ১২টা ৬ মিনিটে দ্বিতীয় দফা জোয়ারের উচ্চতা হবে ৩ দশমিক ৪৯ মিটার।

খুলনা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নদীতে জোয়ারের পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে খুলনার কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম। গত বুধবার থেকে বাঁধে ভাঙন ও বাঁধ উপচে পানি গ্রামে প্রবেশ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার নতুন করে কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কয়রা খালের বাঁধ ভেঙে আরও তিনটি গ্রামে লোনা পানি ঢুকে পড়েছে। আগের দিনের ভাঙন ও জোয়ারে বাঁধ উপচে আসা পানিতে বর্তমানে পানির নিচে রয়েছে সাতটি গ্রাম।

বরিশাল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জোয়ারের পানির কারণে দুর্ভোগে আছে বরিশালের চর ও নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ারের পানির কারণে জেলার চর ও নিম্নাঞ্চল তলিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।

জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় জোয়ারের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে।

এদিকে চট্টগ্রামে খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদের মতো বাণিজ্যিক এলাকা যেমন প্লাবিত হচ্ছে, একইভাবে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বাঁশখালী, হাটহাজারীসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রামের লোকজন।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ বলেন, অমাবস্যার কারণে অতি জোয়ারে কর্ণফুলী, হালদাসহ শাখা নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপ একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোসাগরে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে এবং বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাব ও বাংলাদেশের উপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ কারণেও নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে।

হালদা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিদিনই ডুবছে হাটহাজারী উত্তর মাদার্শা, মদুনাঘাট ও নগরের চান্দগাঁও থানার মোহরা ও আশপাশের এলাকা।

মোহরা এলাকার বাসিন্দা হাজী নাসির উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, কয়েকদিন ধরে হালদা নদীর পানি বেড়ে মোহরার হামিদচরসহ বেশকিছু এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে। জোয়ারের পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে বাসাবাড়িও তলিয়েছে।

এদিকে বাঁশখালীতে জোয়ারের পানিতে চারটি ইউনিয়নের অন্তত পাঁচটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অমাবস্যার ফলে সাগরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন বাঁশখালীর উপকূলীয় ছনুয়া ইউনিয়নের আবাহালী ও ৬০ নম্বর পাড়া, খানখানাবাদ ইউনিয়নের সুন্দপি পাড়া, শেখেরখীল ইউনিয়নের ৩নং ও ৯নং ওয়ার্ডে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া শীলকূপ ইউনিয়নের হেডপাড়া এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে কাঁচা বাড়ি-ঘরের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ। জলকদরে জোয়ারের পানিতে ভেঙে গেছে স্লুইস গেট।

স্থানীয়দের আশঙ্কা, এই মুহূর্তে স্লুইস গেট বন্ধ করা না হলে রাতের জোয়ারে বিলীন হয়ে যাবে হেডপাড়ার নিম্নাঞ্চলসহ আশপাশের মনকিচর এলাকা। সড়কের মাঝ বরাবর ভেঙে যাওয়ায় পশ্চিম মনকিচরের সাথে জালিয়াখালী বাজারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়বে।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST