নিজস্ব প্রতিবেদক :
জোর করে ক্ষমতায় থাকা যাবেনা, সেই দিন শেষ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার বিকেলে বিএনপি আয়োজিত ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের পাশের রাস্তায় অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাসিকের সাবেক মেয়র ও নগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা ঘোষণার সময় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া পাক বাহিনীর হাতে বন্দী হয়ে নির্যাতিত হয়েছেন। এখনও তিনি দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে তিনি কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
তাকে হুইল চেয়ারে করে নড়াচড়া করাতে হয়। স্বজনদের সাথে তাকে দেখা করতে দেওয়া হয়না। তার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১২ বছর ধরে নির্বাসিত হতে হয়েছে। নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন হচ্ছে। এই আন্দোলন আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার দানবের মতো বুকের উপর চড়ে বসে আছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে জেলার বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীর সাথে সব জেলা শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীতে অঘোষিত কারফিউ জারি করা
হয়েছে। মানুষের অধিকার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জনগনের ভোট দেওয়ার অধিকার ডাকাতি করা হয়েছে। ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখ রাতেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত নেতাকর্মীদের নামে এক লাখ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এক লাখ মামলায় ২৬ লাখ আসামী করা হয়েছে। নাশকতা মামলা বলে বিএনপি কর্মীদের ধরা হচ্ছে। অথচ তারা জানেই না নাশকতা মানে কী? নেত্রীর মুক্তির জন্য বিএনপির আন্দোলন চলছে। জনগনকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন। বিএনপি জনগনকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চায়। খালেদা জিয়া মুক্ত হলে গণতন্ত্রের পরিবেশ হবে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে অসংখ্য নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার জনগনকে কেন প্রতিপক্ষ বানাচ্ছেন? জনগন গনতন্ত্র চায়। এই সরকারের আমলে গনতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। দেশে সবকিছুর দাম বাড়ে। কৃষকের কষ্টে ফলানো ধানের দাম বাড়েনা। তাই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। আন্দোলন করতে হবে। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। দেশকে রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ
আন্দোলনের বিকল্প নেই। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এক হয়ে আন্দোলন করতে হবে।
তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, পদত্যাগ করে পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিন। এরপর নতুন নির্বাচন দিন। জনগনের হাতে জনগনের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিন। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, রাজশাহী সদর আসনের সাবেক এমপি ও মেয়র বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাড. কামরুল মনির, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু,
সাংগঠনিক সম্পাদক সায়মা ওবায়েদ, রাজশাহী বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদ, সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি নাদিম মোস্তফা, বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক ও এমপি জিএম সিরাজ, সাবেক ছাত্রনেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ পরিচালনা করেন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শফিকুল হক মিলন।
আর/এস