খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: আগামী জুনের মধ্যে সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
একদিকে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে, অন্যদিকে চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কমিয়ে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও সিএনজি খাত নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করেছে সরকার। অথচ সংকটকালে এ দুটো খাতকে ব্যাপক উৎসাহ দেয়া হয়েছিল।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনে বলেছেন, দেশে বর্তমানে দেশে ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিএফসি) উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদ রয়েছে। দেশে বিদ্যমান গ্যাস ক্ষেত্রগুলো থেকে বর্তমানে দৈনিক ২ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ) গ্যাস উৎপাদন (উত্তোলন) করা হচ্ছে। এই হারে গ্যাস উৎপাদন অব্যাহত থাকলে উক্ত মজুদ (১০ দশমিক ৬৩ টিসিএফ) গ্যাস দিয়ে আর ১১ বছর ব্যবহার করা সম্ভব হবে। পেট্রবাংলার তথ্যানুযায়ী, দেশে বর্তমানে দৈনিক গড়ে মোট ৩ হাজার ১৬০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ) গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।
এরমধ্যে দেশীয় গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ ২ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ) এবং আমদানিকৃত এলএনজি সরবরাহের পরিমাণ দৈনিক ৫৯০ এমএমসিএফ। তবে দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা গড়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার এমএমসিএফ। গ্যাস সংকটের কথা বলে ব্যয়বহুল এলএনজি আমদানি বাড়ানো হচ্ছে, দেশীয় গ্যাসের দামও বাড়ানো হচ্ছে। আবার গ্যাসের সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক মূল্য নিশ্চিত করতে করার কথা বলতে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও সিএনজি খাতে গ্যাস বন্ধ করে দেয়ার কথাও ভাবছে সরকার।
খবর২৪ঘন্টা/নই