খবর ২৪ঘণ্টা ডেস্ক: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার এখন অনুষ্ঠিত হবে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় করাগারে। এই মামলার আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অপর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে এই কারাগারে বন্দী আছেন। তিনি এ মামলায় নির্ধারিত তারিখে হাজিরা না দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলছেন, এটি হলে তা হবে আইনপরিপন্থী।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থ দণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। বয়স ও সামাজিক মর্যাদার কথা বিবেচনা করে আদালত তাঁকে এই দণ্ডাদেশ দেন। এরপর থেকে খালেদা জিয়া নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
দুদকের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল জানিয়েছেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিচার পুরোনো কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে অনুষ্ঠিত হবে। আজ আইনমন্ত্রণালয় এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে। পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে সংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানির তারিখে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হননি। বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। এ কারণে কারাগারের ভেতরেই আদালত বসবেন। সেখানে গণমাধ্যমের কর্মীসহ জনগণের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে বিচার হবে।
কারাগারেরের ভেতর বিচার অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, খালেদা জিয়ার বিচার কারাগারের ভেতর হবে, তাঁরা এমন খবর জানেন না। কারাগারের ভেতর আদালত করা আইনের পরিপন্থী, এটা হতে পারে না।
আগামীকাল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে। মামলাটি যুক্তিতর্ক পর্যায়ে শুনানির জন্য রয়েছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অপর আসামিরা হলেন হারিছ চৌধুরী, জিয়াউল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম খান।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই