1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
জিয়া-খালেদা জিয়া-এরশাদ বাংলাদেশের মাটির সন্তান নয়: প্রধানমন্ত্রী - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ১১ জানয়ারী ২০২৫, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন

জিয়া-খালেদা জিয়া-এরশাদ বাংলাদেশের মাটির সন্তান নয়: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৫ ফেব্ুয়ারী, ২০২০

খবর২৪ঘণ্টা  ডেস্ক: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বাংলাদেশের মাটির সন্তান নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, এ পযর্ন্ত যতজন ক্ষমতায় এসেছে একজনও বাংলাদেশের মাটির সন্তান নয়। একমাত্র আমার বাবা এবং আমি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মাটির সন্তান।

মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় রোমের একটি হোটেলে ইতালি আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের জন্ম বিহারে, এরশাদের জন্ম কুচবিহারে, খালেদা জিয়ার জন্ম শিলিগুড়িতে। একজনও এই মাটির সন্তান না।’

তিনি বলেন, ‘এই মাটির সন্তান— এ পযর্ন্ত যতজন ক্ষমতায় এসেছে আপনারা হিসেবে করে দেখবেন, একজনও বাংলাদেশের মাটির সন্তান না। একমাত্র আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আমি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মাটির সন্তান।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু আমাদের মাটির টান আছে এজন্য আমাদের একটা কর্তব্যবোধ আছে।’

দেশকে উন্নত করতে হলে দেশকে জানতে হয় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আরেকটা জিনিস, দেশকে জানা। অনেকেই ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু এদেশ সম্পর্কে জানে না। কারণ যাদের জন্ম বাংলাদেশের মাটিতে হয়নি তারা জানবে কোথা থেকে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নিজের আমলে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট দিকদর্শন থেকে যদি আমরা কাজ করি তাহলে অবশ্যই একটা দেশ উন্নত হওয়া সম্ভব।’

৭৫-এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তাদের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আসলে ৭৫-এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা এভাবে চিন্তা করেনি। তাদের ক্ষমতাটা ছিল ভোগের বস্তু।’
‘আর আমরা মনে করি ক্ষমতা মানে কাজ করার সুযোগ, জনসেবা করার সুযোগ, আমরা জনগণের সেবক। সেবক হিসেবে কাজ করি। সেটা হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য।’
আওযামী লীগ সরকারের সময় দেশের ব্যাপক অগ্রগতির কথা তুলে ধরে টানা তিনবারসহ চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের আর কেউ পেছনে টানতে পারবে না, আমরা এগিয়ে যাবো।’

দেশের সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্পের ৯০ ভাগ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন আর কেউ ঐ দাতা দাতা বলে আমাদের ভিক্ষে দিতে আসে না। উন্নয়ন সহযোগী বলে আরও কত উন্নয়ন করবো সে সহযোগিতা করতে আসে। কারণ কারও কাছে আমরা ভিক্ষে চাই না।’

বিদেশে যাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়, প্রবাসীদের সেভাবে নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের আচার-আচরণ, ব্যবহার সব কিছুতে যেন দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়।’

বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি যে, প্রবাসী কেউ যদি দেশে যায় বিমানবন্দরে মাঝে মধ্যে খুব হয়রানির শিকার হতে হয়। আসলে আমাদের দেশের কিছু মানুষের চরিত্রই খারাপ। যেই শুনে বাইরে থেকে আসবে তখন ভাবে একটু চাপ দিলে বোধহয় ডলার পাওয়া যাবে।’

ঘুষ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখবেন ঘুষ যে দেয় সেও যেমন অপরাধী আর যে নেয় সেও অপরাধী। যে নেয় শুধু সে অপরাধী নয়, যারা দেয় তারাও অপরাধী। এই দিয়ে দিয়ে অভ্যাসটা আপনারা খারাপ করলেন। আগামীতে আর করবেন না।’
‘প্রত্যেকটা জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দিয়েছি। কোথাও কোন অনিয়ম হলে সঙ্গে সঙ্গে যেন ধরা পড়ে। ধরা পড়া শুধু না, তথ্য সরাসরি আমার কাছে চলে আসে।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন, ইতালি আওয়ামী লীগ সভাপতি ইদ্রিস ফরাজি, প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন হোসনে আরা বেগম।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান শিকদার।

এমকে

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST