জিম্বাবুয়ের কাছে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের তিক্ত স্বাদ পেল বাংলাদেশ। এই সিরিজের আগে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে খেলে ৬টি সিরিজ। যেখানে তিনটি সিরিজ জিতে বাংলাদেশ আর তিনটি সিরিজ হয় ড্র।
হারারেতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৭ রানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। সিরিজ সমতায় আনার পর শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে টাইগাররা হারল ১০ রানে।
ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। দলীয় ১৩ রানের মাথায় ১৩ (৬) রান করা লিটন দাস কট এন্ড বোল্ড হন ভিক্টোর নায়ুচির বলে।
দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ হোসেন ইমন তার অভিষেক ম্যাচে ২ রানের বেশি করতে পারেননি। আনামুল হক বিজয় বরাবরের মতো ব্যর্থ। ১৪ রান করে মাধভেরের বলে হন বোল্ড।
নাজমুল হোসেন শান্তকে ১৬ রানে ফেরান সিন উইলিয়ামস। বিশ্রামে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে হুট করে দলে ঢাকা হয় অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের চোটের কারণে। বাজে ফর্মের কারণে নেতৃত্ব হারানো মাহমুদউল্লাহ নিজেকে প্রমাণের বড় সুযোগ পেলেও ২৭ বলে ২৭ রান করে ফেরেন সাজঘরে। দলের সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার হয়েও দলের বিপদে ব্যর্থ হন হাল ধরতে।
শেষ দিকে শেখ মেহেদীর ২২ (১৭), আফিফ হোসেনের অপরাজিত ৩৯ (২৭) রান ছাড়া বাকিরা ব্যর্থ ব্যাট হাতে।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ৩ উইকেট নেন ভিক্টোর নায়ুচি। ২ উইকেট নেন ব্র্যাড ইভান্স ও ১টি উইকেট নেন ওয়েসলে মাধভেরে, সিন উইলিয়ামস এবং লুক জঙ্গওয়ে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে কুড়ি ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৬ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ছয় ব্যাটার বড় ইনিংস খেলতে পারেননি নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদীদের তোপে।
নাসুম তার প্রথম ওভারের প্রথম বলেই ফেরান ওপেনার রেগিস চাকাভাকে। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে ওয়েসলে মাধভেরেকে ৫ রানে বোল্ড করে ফেরান শেখ মেহেদী। পরের বলেই শূন্য রানে ফেরান সিকান্দার রাজাকে।
ছয় ব্যাটারের দ্রুত বিদায়ে জিম্বাবুয়ের রান যখন একশর নিচে আটকে যাচ্ছিল তখন ১৫তম ওভারে পাঁচটি ছক্কা আর এক চারে ৩৪ রান তুলেন রায়ান বার্ল। যা এক ওভারে সর্বোচ্চ রান তোলার তালিকায় তৃতীয়। বার্লের আগে রয়েছেন কেবল ভারতের যুবরাজ সিং ও কাইরন পোলার্ড। দুজনেই ওভারে ৬টি করে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন।
রেকর্ড করা বার্লকে ৫৪ (২৮) রানে ফেরান হাসান মাহমুদ। শেষ দিকে লুক জঙ্গওয়ে করেন ৩৫ (২০) রান। তাকেও ফেরান হাসান। বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন শেখ মেহেদী ও হাসান মাহমুদ। ১টি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, নাসুম আহমেদ ও মাহমুদউল্লাহ।
বিএ/