খবর২৪ঘন্টা ডেস্ক: জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের পূর্ব থুরী গ্রামে মো. শহিদুল্লাহ নামের এক যুবককে গতকাল বুধবার রাতে এলোপাথারী কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। প্রতিপক্ষের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় গুরুতর আহত শহিদুল্লাহ বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
মামলা ও আহতের পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের পূর্ব থুরী খালের পাড় গ্রামের মো. আ. রহিম এর পুত্র শহীদুল্লাহ একই এলাকার মো. বাচ্চুর পুত্র সাদ্দাম হোসেনকে কয়েক মাস পূর্বে নব্বই হাজার টাকা ধার দেয়। সময় মতো টাকা ফেরত না পাওয়ায় সম্প্রতি শহীদুল্লাহ প্রতিবেশি সাদ্দাম হোসেনকে টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এ নিয়ে সাদ্দাম হোসেন ও শহীদুল্লাহর মাঝে দ্বন্দ্ব কলহ চলছিল।
একপর্যায়ে বুধবার রাতে শহীদুল্লাহ মোটরসাইকেল যোগে মেলান্দহ বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। এ খবর পেয়ে সাদ্দাম হোসেন তার সহোদর ভাই সোহেল ও মোস্তাকসহ অজ্ঞাত কয়েক জন যুবক মেলান্দহের থুরি এলাকায় রাস্তায় রশি ধরে শহীদুল্লাহকে আটকে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেয়। পরে তারা দেশীয় অস্ত্রে এলোপাথারি কুপিয়ে এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শহীদুল্লাহকে গুরুতর আহত করে।
এ ঘটনার পর স্থানীয়রা শহীদুল্লাহকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাৎক্ষণিক শহীদুল্লাহর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল স্থানান্তর করেন। সেখান থেকে ওই রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে গুরুত্বর আহত শহীদুল্লাহ ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এই ঘটনায় আহতের পিতা বাদী হয়ে ৩জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬জনকে আসামি করে মেলান্দহ থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন।
মেলান্দহ থানার উপ-পরিদর্শক শাহ সেকান্দার আলী জানান, এ ব্যাপারে আহতের পিতা মো. আ. রহিম বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই