খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: করোনা প্রতিরোধে লকডাউন (অবরুদ্ধ) উপেক্ষা করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির মাওলানা জুবাযের আহম্মদ আনসারীর নামাজে জানাযায় লাখো মানুষ সমাবেত হয়েছিলেন। গতকাল শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে এ জানাযায় লাখো মানুষ উপস্থিত হওয়া ভেঙ্গে পড়ে জেলার সামাজিক দূরত্ব। পরে জেলার তিন উপজেলার আটটি গ্রামকে লকডাউন করে জেলা প্রশাসন। জন সমাগম ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাৎ হোসেন টিটুকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জানা যায়, লকডাউনের মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বেড়তলা মাদ্রাসা ময়দানে আনসারীর জানাযা অংশ নিতে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রাল এক লাখ মানুষ আসেন। এতে করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার সম্ভবনা দেখা দেওয়ায় সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বেড়তলা, শান্তিনগর, বড়ইবাড়ি, সিতাহরন, আশুগঞ্জের বগইর, খড়িয়ালা, মৈশাইর ও সদর উপজেলার মালীহাতা গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এই গ্রামের কেউ আগামী ১৪ দিন বাড়ি থেকে বের হলেই কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সরাইল সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাসুদ রানা জানান, প্রশাসনের নির্দেশে গ্রামের বাসিন্দাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ৮ গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন নিশ্চত করতে এলাকাগুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল থাকবে। ওসি সাহাদত হোসেন টিটুকে প্রত্যাহার করে শনিবার রাতেই চট্টগ্রাম রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে।
খবর২৪ঘন্টা/বিআ