প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জাতীয় শোক দিবস এবং ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দেশের স্বাধীনতার স্থপতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জাতির পিতার প্রতিকৃতির বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী মহান এই নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকষ দল জাতির পিতার প্রতি রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। এ সময় বিউগেলে করুন সুর বাজানো হয়।
১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডে জাতির পিতার ঐতিহাসিক বাসভবন পরিদর্শন করেন যা ৪৭ বছর আগের এই দিনে বিশ্বের সবচেয়ে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী ছিল।
যে বাড়িটি এখন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তরিত হয়েছে, সেখানে শেখ হাসিনা কিছুক্ষণ অবস্থান করেন।
পরে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সারাদেশে দিনটি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু, তাঁর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তাঁর তিন পুত্র- শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য ও তাঁর নিকটাত্মীয়রা ১৫ আগস্টের রাতে নির্মমভাবে ও ঠান্ডা মাথায় একদল বিপথগামী সেনাকর্মকর্তার দ্বারা হত্যাকান্ডের শিকার হন।
বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা ওই সময় বিদেশে অবস্থান করায় হত্যাকা- থেকে প্রাণে বেঁচে যান।
প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি থেকে পরে বনানী কবরস্থানে যান যেখানে তাঁর মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং ফুলের পাঁপড়ি ছড়িয়ে দেন।
এছাড়াও তিনি ফাতেহা পাঠ করেন এবং ১৫ আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
এ সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকষ দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে।
বিএ/