বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। রোববার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজধানীর দক্ষিণ শাহজাহানপুরে তার নিজ বাসায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় দপ্তরের চলতি দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে সম্মেলনে মির্জা আব্বাস কি বিষয়ে কথা বললেন তা জানাননি প্রিন্স।
ধারণা করা হচ্ছে শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বিএনপির গুম হয়ে যাওয়া সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর গুম হওয়া বার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী সংহতি সম্মেলনী-ঢাকার উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় ইলিয়াস আলীর গুম হওয়া নিয়ে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে কথা বলতে পারেন মির্জা আব্বাস।
ওই সভায় মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ইলিয়াস গুম হওয়ার আগের রাতে দলীয় অফিসে কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়, ইলিয়াস খুব গালিগালাজ করেছিলেন তাকে। সেই বিষধর সাপগুলো এখনও আমাদের দলে রয়ে গেছে। যদি এদের দল থেকে বিতাড়িত করতে না পারি, সামনে এগুতে পারবেন না কোনো অবস্থাতেই। ’
তিনি বলেন, ‘ইলিয়াস যে রাতে গুম হন, ওই রাত দেড়টা বা পৌনে ২টার দিকে খবর পাই। তাৎক্ষণিকভাবে আমার পরিচিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা আমাকে জানান, তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ’
আব্বাস বলেন, ‘সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলী ছিলেন একজন স্বাধীনচেতা, দেশপ্রেমিক সাহসী নেতা। এখানে আমাদের দলের মহাসচিব আছেন, তাকে বলতে চাই, ইলিয়াস গুমের পেছনে আমাদের দলের যে বদমাইশগুলো রয়েছে, তাদেরও চিহ্নিত করার ব্যবস্থা করেন প্লিজ। এদেরকে অনেকেই চেনেন। ’
বিএনপির নেতা আব্বাস আরও বলেন, ‘সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, যে পুলিশ কর্মকর্তাদের সামনে থেকে ইলিয়াস নেওয়া হলো, সেই পুলিশ কর্মকর্তাদের আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এ খবরটা আপনারা (উপস্থিত নেতৃবৃন্দ) জানেন না। সেই গাড়িতে যে কয়জন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন, তাদের আজও পাওয়া যায়নি। যেহেতু ইলিয়াস আলীর গাড়িচালককেও পাওয়া যায়নি। তাহলে এ কাজটি করলো কে?’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি ধরে নিলাম আওয়ামী লীগ সরকার ইলিয়াস আলীকে গুম করেনি, তাহলে গুম করলো কে? আমাদের একজন নেতা সালাউদ্দিনকে পাচার করে নিয়ে গেলো, চৌধুরী আলমকে গুম করা হলো, আমাদের দলের বহু নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে। এটা কিন্তু বাংলাদেশকে ধ্বংস করার পূর্ব আলামত। ’
বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বনানী থেকে নিখোঁজ হন। এ নিয়ে নয় বছর পর এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন দলের এ প্রবীণ নেতা।
জেএন