বিশেষ প্রতিবেদক :
যে নির্বাচনে জনগন ভোট দিতে পারে না সেই জনগনের সাথে প্রতারণার নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবেনা বলে জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. তোফাজ্জল হোসেন তপু। শনিবার দুপুরে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৯ উপলক্ষে বিএনপির ভাবনা কি এই বিষয়ে এই নেতার কাছে খবর ২৪ ঘণ্টার পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ কথা জানান। তিনি আরো বলেন, যে নির্বাচনে জনগন অংশগ্রহণ করতে পারে না। সেই নির্বাচনে গিয়ে কিভাবে? সাংবাদিকদের ইউনিয়নে যদি সাংবাদিকরাই ভোট দিতে না পারে তাহলে সেই ইউনিয়ন দিয়ে কি হবে বলে উদাহরণ দেন। বর্তমানে যে অবস্থা বিরাজ করছে সেই অবস্থায় ভোটে যাওয়া সম্ভব নয়। এই অবস্থার পরিবর্তন হলে বিএনপি বিষয়টি নিয়ে ভাববে। জনগনের প্রতিনিধি নির্বাচনে জনগন যদি মতামত ব্যক্ত না করতে পারে
তাহলে সেই নির্বাচনে গিয়ে কি হবে? কেন্দ্র থেকে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত আছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোনো সিদ্ধান্ত নেই। পরবর্তীতে বিষয়টি পরিস্কার করা হবে। বিএনপি বড় দল হিসেবে নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি সবসময় থাকে। আলাদা কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না। অপরদিকে তানোর পৌর মেয়র ও বিএনপির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা নেগেটিভ আসবে। এই সরকারের আমলে যে অভিজ্ঞতা হলো তাতে তৃণমুল থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য। কারণ নির্বাচনে গেলে জয়লাভ করা সম্ভব নয়। এখনো নেতাকর্মীরা বাড়িতে থাকতে পারছেনা। যারা
মামলা খেয়ে আছে তাদের জেল থেকে বের করে আনতে হবে। আমি মেয়র হয়েও বাড়ি থাকতে পারছিনা। তাই প্রহসনের নির্বাচনে না যাওয়ার জন্যই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা এমরান আলী মোল্লা মারা যাওয়ার সেই পদে কে আসতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে যাওয়ার জন্য অনেকেই আছে। আপনি নির্বাচন করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি যাবোনা। আমি যেহেতু মেয়র আছি। মেয়রই থাকবো। অন্য মুখ আসবে।এদিকে, রাজশাহী জেলার ৯টি উপজেলায় বিএনপির কোনো নেতাকেই তেমনভাবে নির্বাচনের জন্য দোড়ঝাঁপ করতে দেখা যাচ্ছে না। অপরদিকে আ’লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নির্বাচনের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য ছুটাছুটি শুরু করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
খবর ২৪ ঘণ্টা/আর