1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
ছেলে থাকে দোতলায়, মা গাছতলায়! - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন

ছেলে থাকে দোতলায়, মা গাছতলায়!

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০১৯

খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক: জন্মের পর যত্ন করে সন্তানকে সব কিছু থেকে আগলে রাখেন মমতাময়ী মা। সন্তান বড় হলে তাকে নিয়ে হাজারো স্বপ্ন দেখেন মা। কোনো কোনো সন্তান মায়ের স্বপ্ন পূরণ করে, আবার কেউ স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেয়।

নিজে না খেয়ে একসময় যে ছেলের মুখে খাবার তুলে দিয়েছিলেন, আদর-যত্নে ছেলেকে বড় করেছেন সেই ছেলের দোতলা বাড়িতে ঠাঁই হয়নি বৃদ্ধা মা রশি বেগমের। ৮৫ বছর বয়সী এই বৃদ্ধার ঠাঁই হয়েছে ছেলের দোতলা ভবনের পাশের ঝুপড়ি ঘরে।

বরিশালের আগৈলঝাড়ার বাগধা ইউপির খাজুরিয়া গ্রামের কাশেম ফকির-রশি বেগম দম্পতির একমাত্র ছেলে ইউনুস ফকির বউ-ছেলেমেয়ে নিয়ে থাকেন নিজের পাকা দালানে। অথচ ওই ঝুপড়ি ঘরে শেষ বয়সে নানা জটিল রোগে ভুগছেন মা। তবুও বৃদ্ধা মায়ের খোঁজ নেন না ইউনুস।

প্রতিবেশী খলিল মিয়া জানান, ছেলের সুখের জন্য পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সব সম্পত্তি বিক্রি করে সেই টাকা ইউনুসের হাতে তুলে দেন রশি বেগম। সেই টাকায় দোতলা বাড়ি করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকছেন ইউনুস ফকির। আর তার মায়ের ঠিকানা হয়েছে অন্য এক ব্যক্তির জায়গার ঝুপড়ি ঘরে।

খলিল মিয়া আরও বলেন, অনেক দিন আগে রশি বেগমকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় তার ছেলে-বউ। এরপর ভরণ-পোষণ তো দূরে থাক সামান্য খোঁজও নেয় না। স্থানীয়রা তাকে কোনোরকমে থাকার মতো ঝুপরি ঘরটি তুলে দেয়। প্রতিবেশীরা খাবার দিলে রশি বেগম খান, না দিলে উপবাস থাকেন।

রোববার প্রতিবেশী মো. মাহাবুবের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালিমা বেগমকে মারধর করেন ইউনুস ফকির। ওই ঘটনায় হালিমার ভাই নাসির মিয়ার করা মামলায় ইউনুসকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন বলেন, ইউনুসের বিরুদ্ধে জমি দখল, চুরি, জমি রেকর্ড করে দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়া, হয়রানি করা, মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

মায়ের প্রতি অবিচার করার কারণেই ইউনুস ফকির এ শাস্তি হয়েছে বলে স্থানীয়রা বলাবলি করছে। ইউনুস গ্রেপ্তার হওয়ায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। গ্রেপ্তারের পর এলাকার মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে।

স্থানীয় ও সরেজমিন গেলে এলাকার মানুষ তার বিরুদ্ধে জমি দখল, রেকর্ড করানোর জন্য টাকা নেয়া, স্থানীয়দের প্রশাসন দিয়ে হয়রানি, প্রতিপক্ষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোসহ অনেক অপকর্ম রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগও করেছে।

জানা গেছে, খাজুরিয়া গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে মুজাফর মিয়ার কাছ থেকে তার বাড়ির মধ্যে জায়গা রয়েছে দাবি করে দেড় লাখ টাকা নিয়েছে ইউনুস মিয়া ওরফে লেসু। এছাড়া আমজেদ মিয়ার ৮০ হাজার টাকা, জহুরা বেগম ও মাহবুবকে বাড়ি ছাড়া করার হুমকি ও একই এলাকার হান্নান ফকিরের মুদির দোকান চুরির ঘটনায় প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ তালুকদার তাকে মারধর করলে সে এলাকা ছেড়ে ঢাকা যায়।

কয়েক বছর পর এলাকায় এসে তার কয়েক অনুসারী নিয়ে শুরু করে ভূমিদস্যুতা, জাল জালিয়াতি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ ভূমি জরিপ এর সময় দরিদ্র লোকজনের কাছ থেকে কৌশলে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকায় সরেজমিনে গেলে এলাকার শতশত নারী-পুরুষ এসব অভিযোগ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য ইউনুস মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য আ.কাদের, খালেক ফকির, মজিবুর রহমান মিয়া, তরিকুল ইসলাম, হায়াতুন বিবি, জহুরা বেগম, ইসাকুল ইসলাম, রুহুল আমিন দুলাল, আ. রহিম মিয়া, আবু কাদের, শাহজাহান মিয়া, তোতা মিয়া, কালাম, জসীম মিয়া, আলতাব মিয়া, সামছুল হক প্রমুখ।

খবর২৪ঘণ্টা, জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST