ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে খুলনায়। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অর্ধশতাধিক টিয়ারশেল ছুড়েছে পুলিশ।
খুলনার কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয় ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকেলে এই সমাবেশে যোগ দিতে ছাত্রদলের জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে পিকচার প্যালেস মোড় হয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে আসতে থাকেন।
এর আগে, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আগেই খুলনায় পৌঁছান। সমাবেশে যোগ দিতে ছাত্রদলের জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে পিকচার প্যালেস মোড় হয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে আসতে থাকেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আগেই খুলনায় পৌঁছান। সমাবেশে যোগ দিতে ছাত্রদলের জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে পিকচার প্যালেস মোড় হয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে আসতে থাকেন।
একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় মিছিল বের করেন মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিকে আসতে থাকেন।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানায়, সমাবেশে অংশ নিতে বিকেলে তেরখাদা উপজেলা থেকে বিএনপির একটি মিছিল দলীয় কার্যালয়ের দিকে আসার সময় কেসিসি সুপার মার্কেটের সামনে মিছিলে বাঁধা দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় কয়েকজনকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ খবর কেডি ঘোষ রোডে সমাবেশ স্থলে পৌঁছালে বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলের গিয়ে অগ্রসর হয়। পুলিশ বাঁধা দিলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুড়লে পুলিশ পাল্টা টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এর কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগ ও পুলিশ একত্রিত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। তারা সমাবেশ স্থলে এসে চেয়ার ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মহিলা দল নেত্রীসহ ৩০ জনকে আটক করে।
বিএনপির মহানগর আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শুরু করি। সমাবেশে আসা মিছিলের ওপর প্রথম ছাত্রলীগ হামলা করে। পরে তাদের সঙ্গে পুলিশ একত্রিত হয়ে সমাবেশ স্থলে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। বিএনপি অসংখ্য নেতাকর্মী আহত ও আটক হয়েছেন।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, ছাত্রদলের নেতারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ৫০ রাউন্ড টিয়ারসেল, ১৫০ রাউন্ড রারার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের ১৪ জন সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বিএ/