পাবনা ব্যুরো: পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম এবং পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতনকে জড়িয়ে অসত্য সংবাদ প্রকাশ ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০২ মে) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে তাদের দাবীর পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি ও তথ্য প্রমাণ তুলে ধরেন।
লিখিত বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম বলেন, সম্প্রতি কয়েকটি নাম সর্বস্ব অনলাইন পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাকে এবং তার পিতা উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম রতনকে জড়িয়ে অসত্য ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। এসব সংবাদে উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীরকে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ও তার পিতা মিলে আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অত্যাচার নির্যাতন করেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। করোনার এই দূর্যোগকালে ত্রাণের চাল চুরির মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করেছে। এতে আমার ও আমাদের পরিবারের চরম মর্যাদাহানি হয়েছে।
তানভীর আরো বলেন, সম্প্রতি আওয়ামীলীগের নাম ব্যবহার করে আটঘরিয়া এলাকায় শাহ আলম নামে এক ব্যাক্তি মাদক ব্যবসা ও নানা অনৈতিক কাজে যুক্ত হওয়ায় আমি মুঠোফোনে তাকে সতর্ক করি। এই কথোপকথনের অডিও রেকর্ড এডিট করে প্রচার করে, আমি তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছি বলেও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও সামাজিক গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়। বার বার প্রতিবাদলিপি পাঠিয়ে এবং অনুরোধ জানিয়েও নামস্বর্বস্ব অনলাইন ও তাদের তথাকথিত সংবাদ প্রতিনিধিরা ভ্রæক্ষেপ না করে অপপ্রচার চালালে আমি আটঘরিয়া থানায় মামলা দায়ের করি।
সংবাদ সম্মেলনে আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ও পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন বলেন, মাঝপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জাবেদ আলীর নাম ব্যবহার করে তার সাক্ষর জাল করে, ষড়যন্ত্রকারীরা একটি ভুয়া মিথ্যা অভিযোগপত্র আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি, পাবনা-০৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের মৃত্যতে শূন্য হওয়া আসনে উপনির্বাচন সামনে রেখে দলের মধ্যে বিভক্তি ছড়াতেই একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এসব মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জাবেদ আলীও কোন অভিযোগপত্র পাঠাননি বা তার স্বাক্ষরিত কোনো চিঠি সাংবাদিকদের দেননি বলে উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, অভিযোগপত্রে চাঁদভা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম, লক্ষীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলমসহ অনেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রের বিরদ্ধে তাদের নাম ব্যবহার করে পাঠানো অভিযোগপত্রকে অসত্য বলে দাবী করেন তারা।
সেইসাথে গণমাধ্যমকর্মীদের যাচাই বাছাই করে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে আহবান জানান উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর। তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি চ্যালেঞ্চ ছুঁড়ে বলেন, যদি কেউ তাকে মাদকসেবী প্রমাণ করেত পারেন তাহলে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, দেবোত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাইমিন হোসেন চঞ্চল, একদন্ত ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন সরদার, চাঁদভা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আজিজুল গাফফার, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা পান্নু সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খবর২৪ঘন্টা/নই