রাজশাহীর দুর্গাপুরে মসজিদ থেকে ব্যাটারি চুরির অপবাদে এক যুবককে ধরে মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু চুল কেটেই ক্ষান্ত হয়নি । মধ্যযুগীয় কায়দায় শারীরিক নির্যাতনও করা হয়েছে ওই যুবককে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কিসমত গণকৈড় ইউনিয়নের গোপালপাড়া গ্রামে। ওই গ্রামের ফকিরপাড়া জামে মসজিদের মাইকের ব্যাটারি চুরির সময় গ্রামবাসী আটক করে ওই যুবককে।
নির্যাতিত যুবকের নাম রাব্বি (৩০)। সে পুঠিয়া উপজেলার গাঁড়াগাছি গ্রামের আনছার আলীর ছেলে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে। তবে মঙ্গলবার দুপুর থেকে পাশবিক নির্যাতন ও চুল কেটে দেয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নানা মন্তব্য করছেন কেউ কেউ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, মসজিদের ব্যাটারি চুরির সময় ওই যুবককে আটক করে গ্রামবাসী। ব্যাটারি পাওয়া গেলে পরে তার অভিভাবকদের ডেকে আটককৃত রাব্বিকে তুলে দেয়া হয়েছে। চুল কেটে দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, সামান্য মারধোর করা হয়েছে। চুল কেটে দেয়ার বিষয়টা আমার জানা নেই।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, চুরির অপরাধে অভিযুক্ত যুবক রাব্বির মাথার চুল মধ্যযুগীয় কায়দায় কেটে দেয়া হচ্ছে। মসজিদের মুয়াজ্জিন চুল কেটে দিচ্ছেন। এর আগে গ্রামবাসী শারীরিক ও পাশবিক নির্যাতন করে ওই যুবককে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক ও সংশ্লিষ্ট বিট অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। এমনকি ইউপি সদস্যও আমাদের জানাননি। খবরটা এখন জানলাম। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
বিএ..