খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস শনাক্তের ১০ হাজার কিট ও ১০ হাজার প্রতিরোধক সরঞ্জাম চীন থেকে আনার ব্যবস্থা করেছে সরকার। প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো সময় চার্টার্ড ফ্লাইটে এগুলো চলে আসবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কিটস নাই, ইকুইপমেন্ট নাই। আমরা আনার ব্যবস্থা করেছি। চীনকে বলে রখেছিলাম। ১০ হাজার কিটস ও ১০ হাজার প্রটেকটিভ ইকুইপম্যান্ট রেডি আছে। যে কোনো সময় চার্টার্ড ফ্লাইটে এগুলো চলে আসবে।’
কিছু বেসরকারি কোম্পানিও করোনাভাইরাসের প্রয়োজনীয় কিটস ও সরঞ্জাম আনার চেষ্টা করছে। প্রয়োজনে চার্টার্ড ফ্লাইটে সেগুলো নিয়ে আসা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম তিনজনের করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংবাদ আসে। আজ শনিবার পর্যন্ত দেশে মোট ২৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর)। আর মারা গেছেন দুজন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১০ দেশ থেকে বাংলাদেশে যাত্রীবাহী ফ্লাইট আসা বন্ধ থাকবে জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশে যারা করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হয়েছেন, তারা বিদেশফেরত লোকজনের সান্নিধ্যে এসে এই দুর্ঘটনায় পড়েছেন। আমাদের দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে আমরা কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর ও ভারত এ ১০টি গন্তব্য থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ আসা রহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তবে এ সময়ে যুক্তরাজ্য, চীন, থাইল্যান্ড ও হংকংয়ে চার রুট চালু রাখা হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজন হলে ওই রুটগুলো ব্যবহার করা যাবে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রবাসীদের দেশে আসতে নিরুৎসাহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, ‘আমাদের যারা প্রবাসী আছেন, সজাগ হোন। দেশে আসা আপাতত পেছান। প্রতিটি দেশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যদি ভিসা শেষ হয়ে যায়, সেটা এক্সটেনশন করে দেবে।’
এ সময় প্রবাসফেরতদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে মোমেন বলেন, ‘সরকারের কঠোর সিদ্ধান্ত, প্রবাস থেকে যেই–ই আসুক না কেন, তাকে অবশ্যই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে। সেটা বাড়িতে হোক কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক। নির্ঘাত তাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।’
করোনা ইস্যুতে স্বাস্থ্যসহ প্রয়োজনীয় সার্ভিসের ছুটি বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘পুলিশ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করেন, চিকিৎসক, নার্স, প্রত্যেকেরটাই অ্যাসেনশিয়াল সার্ভিস। তাদের ছুটি এ মুহূর্তে বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।’
করোনাভাইরাস রোধে দেশের সকল মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
খবর২৪ঘন্টা/নই