গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় সেনারাও প্রতিরোধ করছে। তীব্র লড়াই চলছে কিয়েভ, খারকিভ, মারিওপলসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে। গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে পশ্চিমা কয়েকটি দেশ দাবি করছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ছে রুশ সেনাবহর। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল, ইউক্রেনে সেনা অভিযানে এরই মধ্যে ৮ থেকে ১০ শতাংশ সামরিক সরঞ্জাম খুইয়েছে রুশ সেনারা।
এবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বলছে, চীনের কাছে অস্ত্র ও সহযোগিতা চেয়েছে রাশিয়া। একই সঙ্গে দেশটির পক্ষ থেকে পরিণতির বিষয়ে চীনকে সতর্ক করা হয়েছে।
তবে ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাস বলছে, রাশিয়ার অস্ত্র সহায়তা চাওয়ার মতো কোনো বিষয়ে অবগত নয় চীনা দূতাবাস। এ ছাড়াও দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের উত্তেজনা কমিয়ে আনার দিকেই বেইজিং-এর মনযোগ।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার লড়াইয়ে চীন নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করেছে। চীন যুদ্ধের অবসানের আহ্বান জানালেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে অস্বীকার করেছে।
ইউক্রেনে রুশ হামলা নিয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং জি বলেন, ‘বেইজিং সমস্যা সমাধানের জন্য নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপের বিরোধিতা করে এবং চীন মনে করে এক তরফা নিষেধাজ্ঞার কোনো আন্তর্জাতিক আইনী ভিত্তি নেই।’
এদিকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ অভিযান।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে। এরই মধ্যে প্রায় ২৭ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
বিএ