খবর২৪ঘন্টা ডেস্কঃ
‘দ্য মেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স-১৯৮২’ অনুসারে চিকিৎসার ফি সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ জন্য দুই মাস সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট আজ সোমবার এই আদেশ দেয়।
প্রসঙ্গত, আদালতের এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকা নির্ধারণ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কমিটিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের পরিচালক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক মালিক সমিতির মহাসচিবকে রাখা হয়েছে। কমিটি গঠন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আজ আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানিও হয় আজ। আদালতে এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বশির আহমেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
বশির আহমেদ বলেন, শুনানি নিয়ে আদালত দুই মাসের মধ্যে এই কমিটিকে ‘দ্য মেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স-১৯৮২’ অনুসারে চিকিৎসার ফি সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৯ জানুয়ারি ধার্য করা হয়েছে। গত ২৪ জুলাই দেশের সব বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকা আইন অনুসারে টানানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। পাশাপাশি ‘দ্য মেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স-১৯৮২’ অনুসারে নীতিমালা তৈরি এবং বাস্তবায়নের জন্য ৬০ দিনের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেয় আদালত। এ বিষয়ে একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
ওইদিন রিটকারী আইনজীভী বশির আহমেদ বলেছিলেন, ‘আদেশ ছাড়াও দেশের সব জেলা সদরের হাসপাতালে ৩০টি আইসিইউ বা সিসিইউ বেড স্থাপন করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। এ ছাড়া অনুমোদিত এবং অনুমোদনহীন প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের পরীক্ষা ও ফির মূল্য তালিকা কেন প্রদর্শন করা হবে না এবং বেসরকারি ক্লিনিকগুলো যাচাই-বাছাই করে কেন লাইসেন্স দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছে আদালত।’
খবর২৪ঘন্টা / সিহাব