খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে দাবি করা এক বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য সাঁতরে নদী পার হয়ে ভারতের আসাম রাজ্যে প্রবেশের পর আটক করেছে বিএসএফ।
গতকাল রোববার আবদুল হক নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ তাকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে সোপর্দ করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আবদুল হক বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তার বয়স ৩০ এর কোঠায়।
বিএসএফের মুখপাত্র উপমহাপরিদর্শক জেসি নায়ক বলেন, ‘দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত কুশিয়ারা নদী সাঁতরে ওই ব্যক্তি আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভারতে প্রবেশ করেন। ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের গ্রামবাসীরা তাকে দেখার পর আটকে আমাদের খবর দেন।’
করিমগঞ্জ শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে দুই দেশের সীমান্তবর্তী মোবারকপুর নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিএসএফ কর্মকর্তা জেসি নায়ক বলেন, ‘ওই ব্যক্তির গায়ে জ্বর ছিল। তার শরীর খুব ভালো দেখাচ্ছিল না এবং তিনি অসংলগ্নভাবে কথা বলছিলেন। তিনি দাবি করন যে, তিনি কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত এবং চিকিৎসার জন্য নদী পার করে ভারতে এসেছিলেন।’
জেসি নায়ক আরও বলেন, ‘ওই ব্যক্তি কোভিড-১৯ আক্রান্ত ছিলেন কি না, সে বিষয়ে আমাদের কোনো ধারণা নেই। তবে স্পষ্ট যে, তিনি অসুস্থ ছিলেন। করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে গ্রামবাসীরা তার কাছে যেতে ভয় পাচ্ছিলেন। কেবল পরীক্ষার মাধ্যমে তার শারীরিক অবস্থা জানা যাবে।’
পরে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানালে বিজিবি দুটি নৌকায় করে ভারতীয় অঞ্চলের ভেতর গিয়ে স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৯টার দিকে ওই ব্যক্তিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
বিএসএফের ওই মুখপাত্র জানান, যদিও বর্ষার সময় কুশিয়ারা নদী বেশ কয়েকবার প্লাবিত হয়, তবে বর্তমানে পানির মাত্রা খুব কম থাকায় যে কেউ সাঁতরে কোনোরকম অসুবিধা ছাড়াই এই নদী অতিক্রম করতে পারবেন।
খবর২৪ঘন্টা/নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।