খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের প্রথম চার মাসে আইনশৃঙ্খলারক্ষা বাহিনীর হেফাজতে ও ক্রসফায়ারে ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রাতে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক এডভোকেসি এবং নেটওয়ার্কিং আবু আহমেদ ফজলুল কবির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আসকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চার মাসে গ্রেপ্তারের আগে ক্রসফায়ারে ৬১ জন, গ্রেপ্তারের পরে ক্রসফায়ারে ২১ জন, গ্রেপ্তারের আগে শারীরিক নির্যাতনে তিনজন, গ্রেপ্তারের পর শারীরিক নির্যাতনে ১০ জন, গ্রেপ্তারের আগে বন্দুকযুদ্ধে দুজন, কাস্টডিতে অসুস্থ হয়ে একজন, কাস্টডিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর শরীরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে পাওয়া গেছে। এছাড়া এই চার মাসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক দুজনকে গুম করার অভিযোগ ওঠেছে।
গত চার মাসে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১০৫ জন। এদের মধ্যে সাতজন আত্মহত্যা করেছেন। প্রতিবাদ করায় সাতজনকে হত্যা করা হয়েছে। উত্ত্যক্তকারীদের শিকার হয়েছেন ৪৯ জন এবং হামলার শিকার হয়েছেন ৪২ জন। এছাড়া ৩৩৩ জন ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৫৪ জন, আর গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭৪ জন। বাকি পাঁচজনের ধর্ষণের ধরণ উল্লেখ করা হয়নি। চার মাসে সারাদেশে সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১২৭ জন নারী। এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন চারজন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত চার মাসে সারাদেশে নাগরিকদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ ও রহস্যজনক নিখোঁজ, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, সীমান্তে নির্যাতন ও হত্যার মতো অনেক ঘটনা ঘটেছে। তবে মার্চ মাসে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা লাভের অধিকার লঙ্ঘন, ডাক্তারি অবহেলা, স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীদের অপর্যাপ্ত সুরক্ষা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্যের অধিকার নিশ্চিতকরণে পর্যাপ্ত উদ্যোগের অভাব, ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা, বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এর ব্যবহার লক্ষ করা গেছে।
খবর২৪ঘন্টা/নই