চরঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর চারঘাটে বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের উদ্ধার করে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সোমববার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার সরদহ ইউনিয়নের পাটিয়াকান্দী উচ্চ বিদ্যালয়ে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধওে পাটিয়াকান্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদের সমর্থক হিসেবে পরিচিতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে বিএনপির অপর নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জলের সমর্থক হিসেবে পরিচিত কাজী গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিলো।
এ নিয়ে চাঁদগ্রুপের সমর্থকরা গত এক মাস আগে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক একেএম জাকারিয়া হোসেনকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয় এবং প্রধান শিক্ষকের অফিসসহ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এরপর থেকে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেনি প্রধানশিক্ষক জাকারিয়া হোসেন।
এ ঘটনায় গত এক মাস ধরেই বিদ্যালয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার ১১টার দিকে উজ্জল সমর্থক হিসেবে পরিচিত কাজী গ্রুপের নেতৃত্বে একটি পক্ষ প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করে। এ ঘটনা জানতে পেরে চাঁদ সমর্থক জাহাঙ্গীর গ্রুপের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে বাধা দেয়।
পরে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষেও ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, জাহাঙ্গীর গ্রুপের জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫), শাজাহান আলী মন্ডল (৫৫), তার ছেলে সেলিম রেজা (২৫) ও আমানউল্লাহ (৫৫) এবং কাজী গ্রুপের কাজী আহম্মেদ (৫৫),শাবু সরদার।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক একে এম জাকারিয়া হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আফজাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে গেলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে বর্তমানে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বিএ..