পুঠিয়া প্রতিনিধি : রাজশাহীর পুঠিয়ার দিঘলকান্দী ও চারঘাট উপজেলার শিবপুর গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় দুই থানাতে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। চারঘাট থানায় হত্যা ও পুঠিয়া থানায় পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারী কাজে বাধা প্রদানের মামলা করা হয়েছে। এতে দু’থানায় মোট একশ’ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরো ৫শতাধিক আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশীর ভাগ আসামী পুঠিয়ার দিঘলকান্দী গ্রামের। এদিকে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষের পর গ্রেফতার এড়াতে দিঘলকান্দী গ্রামের সকল পুরুষ মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে রয়েছেন।
জানাগেছে, দিঘলকান্দী ও শিবপুর গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে ভ্যান চালক রেজাউল করিমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ছেলে আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে চারঘাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা শতাধিক আসামি করা হয়েছে। চারঘাট থানা পুলিশ ইতিমধ্যে ১৪ জনকে আটক করেছেন। অপরদিকে পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার ঘটনায় ১০ জানুয়ারী সকালে পুঠিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানার উপপরিদর্শক সইবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৩ থেকে ৪শ’জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুঠিয়া থানা পুলিশ ৮ জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম ও পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, ভ্যান চালককে পিটিয়ে হত্যা, পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে ২২ জন আসামীকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান তারা।
উল্লেখ্য, পুঠিয়ার দিঘলকান্দী ও চারঘাট উপজেলার শিবপুর গ্রামের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে মতবিরোধ চলছিল। উভয়পক্ষের বিরোধ নিরসনে গত ৯ জানুয়ারী বিকেলে বটতলা বাজারে সালিশ বৈঠককের আয়োজন করা হয়। বৈঠক চলাকালিন সময়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে রেজাউল করিম (৫০) নামের একজন ভ্যান চালকের মৃত্যু হয়েছে।
এস/আর