বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর চারঘাটে তিশা মনি নামের এক গৃহবধুকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে মেয়ের পিতা দুলাল হোসেন বাদি হয়ে গৃহবধুর স্বামী হেলাল হোসেনসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় হত্যার অভিযোগ করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঈদের পরের দিন রোববার(১৭-০৬-১৮) উপজেলার ডাকরা বিনিময়পাড়া গ্রামে।
জানা যায়, বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের তুলসিপুর গ্রামের দুলাল হোসেনের মেয়ে তিশা মনিকে (১৯) পার্শবতী চারঘাট উপজেলার ডাকরা বিনিময়পাড়া গ্রামে মজের উদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিনের সাথে দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
বিয়ের কিছুদিন পর থেকে কারণে অকারণে অত্যাচার শুরু করে। এক পর্যায়ে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে না চাইলেই চলে অত্যাচার। শত অত্যাচার সহ্য করে সংসার করতে চেয়েছিল গৃহবধু তিশা মনি। কিন্তু তার ভাগ্যে সংসার করা হলো না। অবশেষে স্বামী হেলাল হোসেন, শশুর মজের উদ্দিন, শাশুড়ী বুলবুলী বেগম, দেবর বেলাল হোসেন, শাকিল হোসেনের অত্যাচারে তাকে মৃত্যু বরণ করতে হলো।
মেয়ের পিতা দুলাল হোসেন বলেন, ঘটনার দিন রোববার আমার মেয়ের সাথে সকাল ৭টার দিকে ফোনে কথা হয়। এ সময় টাকার কথা বলেন। আম বিক্রি করে টাকা দিব। কিন্তু পাষন্ড জামাই কোন কথা না শুনে তারা পরিবারের লোকজন একত্রিত হয়ে মেয়েকে হত্যা করেছে। এছাড়া বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে এক লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছিল। তবে এ প্রতিবেদকের কাছে বারবার মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন পিতা।
চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের রির্পোট না আসা পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে। তবে অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ