সময় পেলেই ছুটে যান উপজলার প্রত্যান্ত গ্রামোঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কিংবা উচ্চ বিদ্যালয় এমনকি কলেজও হাজির হয় ক্লাসে প্রবেশ করে নেন ক্লাস। কখনও বাংলা,কখনও ইংরজি আবার কখনও নেন গনিত ক্লাস। একজন সরকারী প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন বিচরণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ অভিভাবক মহল ব্যাপক নজর কেড়ছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন।
মাত্র ৪ মাস আগে চারঘাট উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন তিনি। এরপর মাদক ও বাল্য বিয়ে প্রতিরাধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক ভাবে পরিদর্শন করে সাড়া জাগিয়েছেন তিনি।
চারঘাট উপজেলাকে মাদক, ও বাল্য বিয়ে মুক্ত এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে চারঘাটকে একটি আধুনিক উপজেলা হিসেব গড়ে তুলতে শিক্ষকদের মাঝে চিঠি প্রদানসহ ঝরে পড়া রোধে বিভিন্ন ধরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তিনি। প্রশাসনের একজন দায়িত্বশিল কর্মকর্তা হয়েও চারঘাটে শিক্ষা ক্ষেত্রে এমন বিচরণ প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও সোহরাব হোসেন।
জানা যায়,চলতি বছরের ২৭ জুলাই চারঘাট উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন সোরাব হোসেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রে আমুল পবির্তনের লক্ষ্যর শুরু হয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধারাবাহিক ভাবে বিচরন।
এছাড়াও বিয়ের কুফল, মাদকের ভয়াবহতার বিষয় গুলো তুলে ধরে দেন দিক নির্দেশনা মুলক বক্তব্য। বিদ্যালয়ে একি সাথর ৩ দিন অনুপস্থিত এমন শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রতি করে ঝরে পড়া রোধে অভিভাবকসহ শিক্ষকদরর নিয়ে শুরু হয় মত বিনিময় সভা।
শিক্ষার মান উন্নযন করণী বিষয়ে মতামতের জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের মাঝে দেয়া হয় চিঠি। শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলাই মনযোগী হতে নির্দেশনা প্রদান করেন ইউএনও সোহরাব হোসেন। বাল্য বিয়ে ও মাদক প্রতিরোধে প্রশাসনর পাশাপাশি অভিভাবকসহ সর্বস্তরর জনগনকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষা বিষয়ে ইউএন’র উদ্যােগ সম্পর্ক জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জয়নাল আবেদীন বলেন, “ যোগদানের পর থেকেই স্যার যেভাবে শিক্ষা নিয়ে কাজ করে চলেছেন তাতে আমরা সকলে গর্বিত ও অনুপ্রাণিত। স্যারের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে আমি বিশ্বাস করি একদিন শিক্ষায় দেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলায় পরিণত হবে চারঘাট।
এমন উদ্যােগ সম্পর্ক চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, এটা আমার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। তাছাড়া শিক্ষা ছাড়া কোন দিন কোন ব্যাক্তি বা কোন জাতিই উন্সতির উচ্চ শিখড়ে উ্ঠতে পারে না।
আমি সব সময় শিক্ষাক্ষেত্রে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। এজন্য আমি ঢাকা কলেজ থেকে ইংরেজি বিভাগ থেকে মাষ্টার্স সম্পন করার পর ন্যাশনাল কলেজ অফ হুম ইকানামিকস কলেজে শিক্ষকতা শুরু করি। এরপর ৩৪তম বিসিএস ক্যাডাের চাকুরী শুরু।
চারঘাট শিক্ষাক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে ইতিমধ্যর সকল শিক্ষকদের মাঝে চিঠি প্রদান ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন বই তুলে দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। ঝরে পড়া রোধে তালিকা প্রস্তুত করে কিভাবে শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ায় মনোযাগী করে গড়ে তোলা যায় সে বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় অব্যাহত রয়েছে।
বিএ/