খবর২৪ঘন্টা আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চরম পানি সংকটের আশঙ্কায় রয়েছে জনসংখ্যায় বিশ্বের প্রথম ও দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও চীন। আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে এ দুটি দেশসহ ৫৯টি দেশ পানি সংকটের হুমকির মুখে রয়েছে।
বিশ্বের পরিবেশগত হুমকির বিষয়ে এক নতুন গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ ও শান্তিসূচক নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ইনিস্টিটিউট ফর ইকোনোমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি)।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি, খাদ্য ও পানির অভাব এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় বৃদ্ধির কারণে এসব মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বে।
‘ইকোলোজিক্যাল থ্রেট রেজিস্টার’ শিরোনামের প্রতিবেদনটিতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য সূত্রের কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে আটটি পরিবেশগত হুমকি চিহ্নিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে কোন দেশ ও অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে তা দেখানো হয়েছে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় এক হাজার কোটিতে গিয়ে ঠেকবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সম্পদ নিয়ে কাড়াকাড়ি বাড়বে এবং এটি সহিংসতাকে উস্কে দেবে। এগুলো সাব-সাহারা, মধ্য এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে এই ঝুঁকির মুখে থাকা প্রায় ১২০ কোটি মানুষকে ২০৫০ সালের মধ্যে অভিবাসী হতে বাধ্য করবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫০ বছর আগে বিশ্বে সুপেয় পানির পরিমাণ যতটুকু ছিল ২০৫০ সালে তার ৬০ শতাংশ কমে যাবে। আগামী ৩০ বছরের মধ্যে খাদ্যের চাহিদা বাড়বে ৫০ শতাংশ। ভারত ও চীনের মতো কয়েকটি দেশ সবচেয়ে বেশি পানি সংকটের হুমকির মুখে রয়েছে।
আইইপির প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ কিলেলা বলেন, ‘পরিবেশগত হুমকি বৈশ্বিক শান্তির জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ। আগামী ৩০ বছরের মধ্যে জরুরি বৈশ্বিক সহযোগিতার অভাবে খাদ্য ও পানি প্রাপ্তির সুবিধা হ্রাস পাবে। পদক্ষেপের অভাবে গণঅসন্তোষ, দাঙ্গা ও সংঘাত সবচেয়ে বেশি বাড়বে।’
সূত্র: ভিশন অব হিউম্যানিটি, রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান।
খবর২৪ঘন্টা/নই