চট্টগ্রামে কর্নফুলী নদীতে একটি মাছ ধরা নোউকা থেকে
৩ লাখ ৯৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ ১২ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭)। এ সময় আরও ২ জনকে আটক করা হয় এবং নৌকাটি জব্দ করা হয়।
আজ বুধবার বিকেলে পতেঙ্গায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে র্যাব-৭ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) এম এ ইউসুফ এ সব তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে র্যাব চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে এক অভিযান চালায়। ভোর পৌনে ৩টার দিকে নদীতে একটি মাছ ধরার নৌকার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় র্যাব সেটিতে তল্লাশি চালায়।
নৌকায় থাকা ৩টি ট্রাভেল ব্যাগ তল্লাশি করে ৩ লাখ ৯৬ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে র্যাব।
এ সময় নৌকায় থাকা ১২ রোহিঙ্গাসহ ১৪ জনকে আটক করে র্যাব।
আটককৃতরা হলেন-আবুল কালাম (২৭), মো. আবুল ফয়েজ (৫০), মো. মনির হোসেন (৪৫), মো. আলম (৪১), মো. রফিক (২৯), মো. ইয়াহিয়া (২৮), মো. দীল মোহাম্মদ (২৩), মো. মজিবুর রহমান (১৯), মো. আব্দুল মজিদ (২৮), মো. তারেক (১৯), মো. হোসেন (৪২), মো. বশির আহাম্মদ (২২), মো. মঞ্জুর আলম (১৯) ও মো. একরাম উল্লাহ (১৯)।
র্যাব জানায়, তাদের মধ্যে আবুল কালাম ও মো. আবুল ফয়েজ বাংলাদেশি এবং ওই নৌকার মালিক। এছাড়া, বাকি ১২ জন রোহিঙ্গা।
র্যাব-৭ এর কর্মকর্তা মেজর মুশফিকুর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে আটককৃত রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তারা টেকনাফের মাছ ধরার ট্রলারে কাজ করেন।’
মাছ ধরার ব্যবসার আড়ালে সিন্ডিকেটটি দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাকারবার করে আসছিল বলেন তিনি।
আটককৃতদের পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
#বিএ