খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামে আরও দুজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ট্রপিক্যাল ইনফেকশাস ডিজিজেসের (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ১৮৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
নতুন আক্রান্ত দুজনের মধ্যে একজন আগ্রাবাদ শান্তিবাগ এলাকার ও একজন হালিশহর নয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা। তাদের একজনের বয়স ৩০ ও অপরজনের বয়স ৪০ বছর।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির।
চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৬ মার্চ চট্টগ্রামে করোনার নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। জেলায় প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৩ এপ্রিল। নগরীর দামপাড়ায় ৬৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি তার ওমরাফেরত মেয়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হন বলে ধারণা করা হয়। এখন পর্যন্ত তিনি করোনা পজিটিভ আছেন। পরে ৫ এপ্রিল দ্বিতীয় করোনা রোগী শনাক্ত হন ওই ব্যক্তির ২৫ বছর বয়সী ছেলে।
গত ৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হন তিনজন। একদিন বিরতি দিয়ে ১০ এপ্রিল বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষায় আরও দুজন করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এরপর ১১ এপ্রিল চট্টগ্রামে করোনা রোগী শনাক্ত হন তিনজন। ১২ এপ্রিল চট্টগ্রামে সে সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়ায়। আক্রান্তদের একজন শিশু ওই দিন দিবাগত রাতে জেনারেল হাসপাতালে মারা যায়। এছাড়া এ দিন ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যও করোনা আক্রান্ত হন।
গত ১৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত হওয়া দুজনের একজন নারী করোনা শনাক্তের আগেই আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় মারা যান। ১৪ এপ্রিল সর্বোচ্চ ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে এক চিকিৎসক, সাতকানিয়ার পাঁচ যুবক ও নগরের সাগরিকা এলাকার এক পরিবারের চারজন করোনায় আক্রান্ত হন। এর পরের চারদিন ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয় যথাক্রমে ৫, ১,১ ও ১ জন।
তবে ১৯ এপ্রিল চট্টগ্রামে আবারও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়। এ দিন ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এছাড়া পুরনো এক রোগীর আবারও পজিটিভ আসে। গত ২১ এপ্রিল নতুন একজন শনাক্ত হওয়ায় জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০ জনে। ২২ এপ্রিল নতুন ৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) নগরের দামপাড়ায় আরও একজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। শনিবার আরও দুজন শনাক্ত হওয়ায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৬ জনে।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে এক শিশু, দুই বৃদ্ধ ও দুই নারীসহ মোট পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া আইসোলশনে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন পাঁচজন। মৃত্যুর পর তাদের পাঁচজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ পাওয়া যায়। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন মোট ১২ জন। এখন পর্যন্ত ২৭ জন আইসোলেশনে ভর্তি আছেন।
খবর২৪ঘন্টা/নই