খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কথা চিন্তা করে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল দেয়ার ক্ষেত্রে সময়সীমা শিথিল করেছে সরকার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের গ্যাসবিল জুন মাসের যেকোনো দিন জরিমানা ছাড়াই পরিশোধ করতে পারবেন গ্রাহকরা।
এছাড়া ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিলের সারচার্জ বা বিলম্ব মাশুল আদায় না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার (২২ মার্চ) এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
আদেশে বলা হয়, আবাসিক গ্যাসবিল নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পরিশােধের জন্য বিপুলসংখ্যক গ্রাহককে বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় একই সময়ে উপস্থিত হতে হয়। বিল পরিশােধের নিমিত্ত এরূপ উপস্থিতি করােনাভাইরাস সংক্রমণকে ত্বরান্বিত করে। এর প্রেক্ষিতে সরকার আবাসিক খাতে গ্যাসবিল পরিশােধ করার ক্ষেত্রে গ্যাস বিপণন নিয়মাবলি (গৃহস্থালি)- ২০১৪ এর নির্ধারিত সময়সীমা শিথিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
অফিস আদেশে আরও বলা হয়, আবাসিক গ্রাহকরা কোনো প্রকার সারচার্জ/বিলম্ব মাশুল ব্যতীত ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের গ্যাস বিল জুন (যদি আর কোনাে নির্দেশনা না থাকে) মাসের সুবিধাজনক সময়ে পরিশােধ করতে পারবে। এ অবস্থায় উপযুক্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরােধ করা হলাে।
বিদ্যুৎ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থা/কোম্পানিসমূহ গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। গ্রাহকগণ বিভিন্ন ব্যাংক এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরবরাহকৃত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন। বর্তমানে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে অনেক গ্রাহকই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসাবাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।
এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসে অনেক গ্রাহকই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবেন না মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে সারচার্জ বা বিলম্ব মাশুল ব্যতিরেকে পরিশোধের নিমিত্ত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো।
খবর২৪ঘন্টা/নই