গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে শহিদ ফিরোজ চত্ত্বরের পাশ্বে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নিজেরাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে ও ভাংচুর করে শেখ রাসেল পদ্ম সমবায় সমিতি নামে ব্যানার টাঙ্গিয়ে দখলের চেষ্টা চালিয়েছে গোদাগাড়ী পৌর সভার আওয়ামী যুবলীগ ও কৃষকলীগ ও শ্রমিক লীগের গুটি কয়েক নেতা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হসিনার ছবি নিজেরাই ভাঙ্গিয়ে ওই জায়গার পূর্ব দখলদার তোজাম্মেল, জামাল ও তোতার উপর দায় চাপানোর চেষ্টা চালিয়েছে তারা। শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ভাঙ্গা ছবি আর শেখ রাসেল পদ্মা সমবায় সমিতির নামে কুকচানো মুচড়ানো ব্যানার আওয়ামী যুবলীগ নামধারী মোঃ আনারুল ইসলামের ফেসবুক আইডি হতে ছবি আপলোড দিয়ে তোজাম্মেল, জামাল ও তোতার নামে অপপ্রচার চালিয়েছে।
এই ঘটনায় আওয়ামীলীগের দুর্নাম এখন গোদাগাড়ী সদরে বইতে শুরু করেছে।
জানা যায়, গোদাগাড়ী পৌর এলাকার কেল্লাবারুইপাড়া গ্রামের মোঃ তোজাম্মেল হোসেন শহিদ ফিরোজ চত্ত্বরের পাশ্বেই কয়েকটি দোকানের মার্কেট ছিলো। শেখ রাসেল নামে যারা ব্যানার টাঙ্গিয়েছে তারা তোজাম্মেলের দোকানেই ভাড়া থাকতো। কয়েকমাস আগে সড়ক ও জনপদ বিভাগ ওই অবৈধ স্থাপনা গুলো ভেঙ্গে দেয়। পরে শেখ রাসেল সমবায় সমিতি নামে তোজাম্মেলের জায়গায় ব্যানর টাঙ্গিয়ে বাস খুটি দিয়ে আওয়ামীলীগের নাম ব্যবহার করে দখলে নেয়। তোজাম্মেল তাদের এমন কান্ড দেখে নিজের আয়ত্তে জায়গাটি পুনরায় নেওয়ার চেষ্টা করে আওয়ামীলীগ ও তাদের নিকট দারস্থ হয়। দীর্ঘদিন কোন সূরাহার পথ না পেয়ে কয়েকদিন আগে থানা পুলিশের আশ্রয়ে জায়গাটি উদ্ধারের ব্যবস্থা করে। গতকাল তোজাম্মেলসহ তার দুই ভাই সেখানে গিয়ে বাসখুটি সরার চেষ্টা করে। সেখানে কোন শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার ছবি টানেনি বা ভাঙ্গেও নি।
পরে সংঘ বন্ধ হয়ে শেখ রাসেল পদ্মাসমবায় সমিতির কয়েকজন ছেলে তাদের বিপদে ফেলতে নিজেরাই শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দিয়ে ফেসবুকে তাদের উপর দায় চাপিয়ে দিয়ে স্ট্যাটাস দেয় ও গোদাগাড়ী থানা পুলিশের নিকট মোঃ আলমগীল হোসেন নামে শেখ রাসেল পদ্মা সমবায় সমিতির সভাপতি হয়ে অভিযোগে দায়ের করে।
পুুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছবি ভাঙ্গার কোন সত্যতা পাই নি। পরে রাজশাহী সহকারি সিনিয়র পুলিশ সুপার গোদাগাড়ী সার্কেল মোঃ একরামুল হক ঘটনা স্থলে গিয়ে তদন্ত করে। তিনি গেলে ছবি ভাংচুরের কথা না বলে বরং পড়ে গেছে বলে দাবি করে । এই কথাটি নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র সহকারি পুশিল সুপার মোঃ একরামুল হক।
শেখ রাসেল পদ্মা সমবায় সমিতির সভাপতি ও থানায় অভিযোগ কারি মোঃ আলমগীরের মোবাইল ফোন ০১৭৫৮-৬৪৫৫৩৮ নম্বরে একাধিকবার কল ও এসএমএস দিয়েও যোগাযোগ করা যাইনি। এদিকে তোজাম্মেলের ভাই মোঃ তোতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা কোন ছবি ভাঙ্গিনি। গোদাগাড়ী থানা পুলিশের সহযোগিতায় চেয়ে আমরা সেখানে গিয়েছি। তারা নিজেরই ছবি ভেঙ্গে আমাদের উপর দোষারপ করছে বলে দাবি করেন।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আলতাফ হোসেন বলেন, দুই পক্ষকে ডেকে আপন আপন অবস্থানে থাকতে বলেছি । তবে ছবি ভাংচুরের কোন সত্যতা পাইনি।
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ একরামুল হক বলেন , দুই পক্ষই যেহেতু সরকারি জায়গা দখল করে আছে । তাদেরকে আপন আপন অবস্থানে থাকতে বলেছি আর সেটা যদি না করতে পারে তাহলে সরকারি জায়গা উদ্ধার করা হবে বলে জানান।
এদিকে আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজেরাই জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি ভেঙ্গে দখলবাজির কাজটিকে ভাল চোখে দেখছে না জনসাধারণ ও আওয়ামীলীগের নেতারা। প্রশ্ন উঠেছে তারা যদি প্রকৃত অর্থেই আওয়ামীলীগকে ভালবাসে তাহলে এই জঘৃণ্য কাজটি করতো না। তারা আওয়ামীলীগ কে পঁচাতে কারো ইন্ধনে কাজ করছে। বিশ্বস্থ সূত্রে জানাযায়, শেখ রাসেল পদ্মাস্মৃতি সমবায় সমিতি নামে ঘরটিতে অসামাজিক কাজ দীর্ঘদিন হতে চলে আসছে। ক্ষমতাসীন দলের লোক হওয়াই কোউ কোনদিন ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি। এছাড়াও যেসব ছেলেরা সেখানে আড্ডাবাজি করে তারা অধিকাংশই অন্যদল হতে এসে আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় আছে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ