নিজস্ব প্রতিবেদক :
গোদাগাড়ীতে ফুফু সোনিয়ার হাসুয়ার আঘাতে মারা যায় শিশু তামিম বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ। সোমবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
পুলিশ সুপার জানান, গতকাল রোববার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় শিশু তামিমের ছোট ফুফু সোনিয়া খাতুন (১৪) হত্যার কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার পর বিষয়টি অন্যদিকে ধাবিত করতে সোনিয়া তার বোন রাবেয়া খাতুন(২২) ও মা নার্গিস বেগমের সহায়তা নেয়। রাতে শিশুর লাশ পাওয়া যায় একটি মাচানের নিচে। পরদিন শিশু তামিমের বাবা বাদী হয়ে গোদাগাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনাস্থালে গিয়ে সন্দেহজনক ভাবে নিহত তামিমের দুই ফুফু ও দাদীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়। রোববার রাতে সোনিয়া বিষয়টি স্বীকার করে।
২৬ এপ্রিল সকাল ১০ টার দিকে শিশু তামিম ও সোনিয়া বাড়ির পাশেই ছিল। অসাবধানতা বশত হাসুয়ার ডাট(গোড়া) খুলে গিয়ে তামিমের মাথার তালুতে ঢুকে যায়। দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই শিশু তামিমের মৃত্যু হয়। ভয়ে সোনিয়া তার মা নার্গিস বেগম ও বড় বোন রাবেয়া খাতুন কে জানায়। সে সময়ে শিশু তামিমের বাবা ও দাদা বাজারে ছিলেন এবং মা ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। এই সুবাদে দাদি নার্গিস বেগম ও তার দুই মেয়ে তামিমের লাশ ওড়না দিয়ে পেচিয়ে একটি মাচার নিচে লুকিয়ে রাখে।
পরে তামিমের সন্ধানে তার মা বের হলে বিষয়টি অন্যদিকে প্রবাহিত করতে দাদী নার্গিস বেগম অপহরণ করা হতে পারে বলে জানায়। এরপর এলাকা জুড়ে নিখোঁজ তামিমের সন্ধানে মাইকিং করা হয়। পরে রাতে ফুফু রাবেয়ার মাধ্যমেই বের হয়ে আসে লাশের সন্ধান।
এ ঘটনার পরদিন ২৭ এপ্রিল তামিমের পিতা রাসেল গোদাগাড়ী থানায় অজ্ঞাত একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সন্দেহজনক ভাবে দাদী নার্গিস, তার দুই মেয়ে রাবেয়া ও সোনিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে পুলিশ। জিজ্ঞাবাদে ফুফু সোনিয়া খাতুন হত্যাকা-ের কথা স্বীকার করে এবং মা ও বোনের সহযোগীতার কথাও জানায়।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে