গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ
জনতার রোষানলে পড়ে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত হয়ে ফিরে গেলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও সাবেক গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম আতাউর রহমান ও জেলা আওয়ামীলীগ উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য সাবেক পুলিশের কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলাট রিশিকুল ইউনিয়নের বিলাসী মোড়ে আওয়ামীলীগের এই দুইনেতা হঠাৎ করে তাদের অনুসারীদের নিয়ে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। বিলাসী মোড় সাবেক গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান খানের নিজ গ্রাম হওয়া সত্তেও সেই গ্রামসহ আশেপাশেরর প্রায় ৫ শতাধিক স্থানীয় জনতা জড়ো হয়ে সেখানে অবস্থান নেন। রিশিকুল ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম টুলুসহ অনেকে মতিউর রহমান ও একেএম আতাউর রহমান খানের কাছে তাদের একত্রিত হওয়ার কথা জানতে চাই।
এভাবে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে উত্তেজনা ছড়ায়। এক পর্যায়ে স্থানীয় জনতা রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি একেএম আতাউর রহমান খান ও উপদেষ্টা সদস্যা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমানকে চড়থাপ্পর গলা ধাক্কাধাক্কি দিয়ে তাড়া দিতে লাগলে ওই দুইনেতা সহ তাদের অনুসারিরা দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। এসব ঘটনার খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ লুৎফর রহমান ফোর্স নিয়ে সেখানে উপস্থিল হলে পরিস্থিতি শান্ত করে। এর আগে আলোক ছত্রগ্রামে তাড়াখেয়ে একইভাবে জড়ো হলে একই ভাবে তাদের তাড়া দিয়ে সরিয়ে দেয়।
ঘটনায় এলাকায় এক রকম থমথমে পরিস্থিথি বিরাজ করছিলো। জেলা আওয়ামীলীগ সহ- সভাপতি একেএম আতাউর রহমান খানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমপি সাহেব যা শুরু করেছে তা কাম্য নয়। ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে বলেন, আমি শারিরিক ভাবে অসুস্থ গাড়ীতে আছি পরে কথা বলবো বলে ফোনটি কেটে দেন। সহকারী পুলিশ সুপার গোদাগাড়ী সার্কেল লুৎফর রহমান বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো আমরা সেখানে পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স নিয়ে উপস্থিতি হয়ে নিয়ন্ত্রণ করি। সেখানে কোন অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে বলে জানান।